আমরা প্রতি বছর দেশে প্রচুর ডাক্তার তৈরি করছি। অথচ প্রতিবছর হাজার হাজর রোগী ভারত, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে গিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছে। একদিকে দেশের টাকায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হাজার হাজার ডাক্তার তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে চিকিৎসাখাতে দেশের মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। রোগীরা বিদেশে কেন যাচ্ছে? প্রথমত, আমাদের দেশের অধিকাংশ ডাক্তার সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারছেন না। দ্বিতীয়ত, চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। একজন রোগীর বিভিন্ন ধরনের টেষ্ট করার সামর্থ্য আছে কিনা, কিংবা অতগুলো টেস্টের আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কিনা সেগুলো বিবেচনা না করে আমাদের দেশের ডাক্তাররা রোগীদের প্রচুর টেষ্ট করতে দেন। তৃতীয়ত, আমাদের দেশের ডাক্তারগণ রোগীর কথা শোনার আগেই ওষুধ লিখে ফেলেন। একজন রোগীর ইতিহাস জেনে , পারিপার্শিকতা জেনে রোগের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে যে ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়, চিকিৎসা করতে হয় সেগুলো তারা করেন না। রোগীর সাথে কথা কীভাবে বলতে হয়, তাও তারা ভালভাবে অনেকেই জানেন না।
একজন ভারতীয় ডাক্তার একজন রোগীর কথা মন দিয়ে শোনেন, তারপর রোগীকে অভয় দেন আপনার তেমন কিছু হয়নি। কী কী কারণে রোগ হয়েছে তার একটি বর্ণনা দেন। তারপর বলেন, আপনি এ নিয়মগুলো মেনে চললে কিংবা একটি বা দুটি হালকা ওষুধ দিয়ে বলেন আশা করি এতেই আপনি ভাল হয়ে যবেন। তারপরও কোনো সমস্যা হলে আবার যোগাযোগ করবেন। আমাদের দু’একজন ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব ডাক্তার এসবের উল্টোটাই করে থাকেন।মনোবিজ্ঞানের ভাষায়, একজন ব্যক্তি যদি তার নিজ যোগ্যতা ও অর্জন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন এবং সেটি যদি মানসিক সমস্যার পর্যায়ে চলে যায়, তাহলে সেটিকে বলা হয় ‘ইমপোস্টার সিনড্রোম’। আমাদের দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন এর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে বেশি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে দেশের ৩২ শতাংশ মেডিক্যাল শিক্ষার্থী এখন ইমপোস্টার সিনড্রোমে ভুগছেন। নিজেদের প্রতারক ও অযোগ্য ভাবছেন তারা। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে অন্যের ধারণাকেও তাদের অতিরঞ্জিত মনে বলে মনে হয়। এতে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হয়। একই সঙ্গে আতঙ্ক তৈরি হয়, তাদের অযোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতার কথা মানুষ জেনে যাবে। রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি ৫০০ মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীর মধ্যে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, পুরোপুরি অমূলক হলেও মেডিক্যাল কলেজের সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যেই এখন এ ধরনের বিশ্বাস ও আতঙ্ক কম-বেশি কাজ করছে। বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড ও ইউনিভার্সিটি অব সিডনির একদল বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি এ গবেষণা চালান। গবেষণায় পাওয়া ফলাফল ব্রিটিশ প্রকাশনা এফ ১০০০ রিসার্চ জার্নালে ডিস্ট্রিবিউশন অব ইমপোস্টার সিনড্রোম অ্যামং মেডিক্যাল স্টুডেন্স অব বাংলাদেশ: অ্যা ক্রস সেকশনাল স্টাডি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, দেশের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ৩৬শতাংশ ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে ইমপোস্টার সিনড্রোম বা নিজেকে প্রতারক ভাবার প্রবণতা রয়েছে। গড়ে এ হার দাঁড়ায় ৩২ শতাংশের কিছু বেশি।
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিকে কিংবা উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় প্রায়ই তাদের হয় বাংলায় কিংবা ইংরেজিতে একটি রচনা লিখতে হয় `আমার জীবনের লক্ষ্য’। সেখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই লেখে তাদের জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে ডাক্তার হওয়া। কারণ ডাক্তার হলে জনসেবা করা যায়, দেশসেবা করা যায়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বুঝে, কেউ না বুঝে এটি লেখে। যারা কলা বিভাগ এমনকি বাণিজ্য বিভাগরে পড়ে তারাও লেখে যে, তারা জীবনে ডাক্তার হতে চায়। রচনা বইয়ে লেখা আছে তাই তারাও লেখে। সিনিয়ররা লিখত তাই তারাও লেখে, সবাই লিখছে তাই তারাও লেখে যে, তারা ডাক্তার হবে। কদিন আগে একজন ইয়ং ডাক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে আলাপের এক পর্যায়ে তিনি বলছিলেন, একজন মানুষ ডাক্তার হতে চায় কেন? আমি অপেক্ষায় ছিলাম যে তিনি বলবেন, জনসেবা করার জন্য। অথচ উনি বললেন, ডাক্তার হলে মাসে কমপক্ষে তিনলাখ টাকা উপার্জন, তা সে যে বিভাগেরই ডাক্তার হোন না কেন। এখানেই বোঝা গেল কেন তারা নিজেদের প্রতারক মনে করেন। শিক্ষাজীবনে লিখেছিলেন যে, জনসেবা করবেন আর ডাক্তার হওয়ার পর বলছেন মাসে কমপক্ষে তিনলাখ টাকা উপার্জনের জন্য একজন শিক্ষার্থী ডাক্তার হন।
আর একটি বিষয় হচ্ছে আমাদের যেসব ডাক্তার সরকারি চাকরি করার সুযোগ পান তারা দেখতে পান যে, সরকারি হাসপাতালগুলোতে জনগনের সেবার মান কত নিচে। সরকারি হাসপাতাল মানেই হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত, অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন, অবজ্ঞা, অসহায় মানুষের কাতরানো, কান্না আর চিৎকার করার জায়গা। কোথায় চিকিৎসা? কোথায় মানবতা? কোথায় জনসেবা? এগুলো তারা যখন দেখেন তখন তাদের শিক্ষার্থীজীবনের কথা মনে পড়ে যায়। কত আগ্রহভরে তারা লিখতেন যে, ডাক্তার হয়ে এটি করবেন সেটি করবেন কিন্তু করছেনটা কী? মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস অধ্যয়নরত সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যেই কমবেশি ‘ইমপোস্টার সিনড্রোম’ দেখা যায়। এর মধ্যে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ২৭ শতাংশ, দ্বিতীয় বর্ষের ১৯, তৃতীয় বর্ষের ৪০, চতুর্থ বর্ষের ৪০ ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ৩৮ শতাংশের মধ্যে নিজেকে প্রতারক মনে করার প্রবণতা রয়েছে। তারা ইতিমধ্যে হাসপাতালগুলোর অবস্থা দেখছেন এবং পাস করার পর এভাবেই, এসব হাসপাতালেই কাজ করতে হবে, সম্ভবত এসব ভেবে তারা এ সমস্যায় ভুগছেন।
সাধারণ মানসিক রোগের সঙ্গে ইমপোস্টার সিনড্রোমের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাঝারি ও গুরুতর মাত্রায় ইমপোস্টার সিনড্রোমের উপস্থিতি তাদের মনস্তাত্ত্বিক ও একাডেমিক অবস্থানকে প্রভাবিত করে। এসব শিক্ষার্থী আত্মবিশ্বাসী হতে পারে না, ক্ষতির মুখে পড়ে তাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা। মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক সাবকে উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক। তার ভাষ্যমতে, মেডিক্যালের পাঠ্যক্রম অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাভীতি কাজ করে। তাদের মধ্যে শিক্ষক ও পরীক্ষাভীতিও রয়েছে। এ ভীতিকর পরিবেশে তারা মানিয়ে চলতে পারেন না। তিনি বলেন, দেশে প্রতি বছর অনেক চিকিৎসক বের হচ্ছেন, কিন্তু সে তুলনায় সরকারি বা বেসরকারি কর্মসংস্থান নেই। শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস শেষ করে কোথায় কাজ করবেন তা নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দে ভোগেন। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির পূর্বে একজন শিক্ষার্থী কত স্বপ্ন দেখে, আত্মীয়স্বজন, নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই, শিক্ষকগণ সবাই আশা করেন ছেলেটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছে, সে দেশকে অনেক কিছু দিবে। সমাজের জন্য দেশের জন্য অনেক অবদান রাখবে। কিন্তু কলেজে ভর্তির পর তার হোস্টেলে থাকা, খাওয়া নিয়ে যে যুদ্ধ করতে হয়, রাজনীতির নামে যে ডিস্টার্ব হয়, তারপর দেখে পাস করে বের বের হতে হতে সাত আট বছর সময় লেগে যায়। তাতেই বিরক্তি এসে যায়। তারপর শুরু হয় চাকরির সংগ্রাম। সরকারি চাকরি তো সীমিত। সেখানে যদি চাকরি হয়ও তো পোস্টিং হচ্ছে কোন উপজেলায় যা জেলা শহর থেকে অনেক দূরে। সেখানে যাওয়ার পর মন টেকে না। তাদের সেভাবে প্রস্ততও করা হয়নি যে, তারা গ্রামে গিয়ে কাজ করবে। আর এতদিন উচ্চাশা নিয়ে থেকে থেকে গ্রামীণ হাসপাতালে চাকরি করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছে অনেক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী। শুরু হয় বদলি যুদ্ধ। বদলি তো এমনি এমনি হয় না, দরকার মোটা অঙ্কের টাকা। সেই টাকা কে কীভাবে যোগাড় করবে? শুরু হয় আবার হতাশা এবং একজন মেডিক্যালের চতুর্থ পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী জানে যে, তার সামনে এই ভবিষ্যত। এসব ভেবে মন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। কোথায় তার দেশসেবা, কোথায় সাধারণ মানুষের সেবা, কোথায় তার প্রতিশ্রুতি? এ ছাড়া তারা যেসব মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষাগ্রহণ করছে, সেখানকার নানা সীমাবদ্ধতাও তাদের হীনম্মন্যতা ও ভীতি তৈরিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে।
পরিবারের আয়ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইমপোস্টার সিনড্রোমের প্রাদুর্ভাবে বড় ভূমিকা রাখে। আয়ভিত্তিক বিভাজনে দেখা গিয়েছে , সবচেয়ে কম আয়সীমার পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর প্রকোপ বেশি। মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার কম, এমন পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ এ সমস্যায় ভুগছেন। ২১ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয়সীমার পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইমপোস্টার সিনড্রোমে ভুগছেন ৩৮ দশমিক ৯শতাংশ। এ ছাড়া ৩১ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় সীমার ক্ষেত্রে এ হার ৩৫ দশমিক ১ শতাংশ। মাসে ৪১ হাজার টাকা বা তার বেশি আয়কারী পরিবারগুলোর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ৩০ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে ইমপোস্টার সিনড্রোমের প্রাদুর্ভাব কিছুটা বেশি। ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের তুলনামূলক বাড়তি উদ্বেগে ভুগতে দেখা যায়। আবার পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পরিশ্রম করার প্রবণতাও তাদের মধ্যে বেশি। এটি হতে পারে এ জন্য যে, পেশাগত প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মেয়েদের বিয়ে নিয়েও একটি বাড়তি চিন্তা থাকে। পাস করে বের হওয়ার সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার পরিমাণও বাড়তে থাকে। বিশেষ করে পাঠ্যক্রম, অধ্যয়ন ও নিজের কর্মক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগে থাকে তারা। আর সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ কাজ করে ভবিষ্যতের পেশাগত অবস্থান নিয়ে।ইমপোস্টার সিনড্রোমে ভুক্তভোগীদের ৩৩ শতাংশ পরিবারের ইচ্ছায় মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিল বলে গবেষকদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। বাকিদের মধ্যে ১৭ শতাংশ ভাল চাকরির আশায়, ৩৮ শতাংশ চিকিৎসাশিক্ষায় মান ভাল, এমন ভাবনায়ও ৩৪ শতাংশ নিজের ইচছায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন।
দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোর অবকাঠামোগত সংকট, পাঠ্যক্রম পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ না করা, শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের ঘাটতি দেখা যায়। বিশেষ করে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর মধ্যে এ ধরনের সমস্যা সবচেয়ে প্রকট হয়ে উঠেছে। মানসম্মত চিকিৎসক তৈরির দিক থেকেও পিছিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষা উপযোগিতা ঘাটতি ও মানহীনতার অভিযোগে কোন কোনটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। বিষয়টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যত নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বাড়ছে ইমপোষ্টার সিনড্রোমের মতো মানসিক সমস্যার ঝুঁকি। দেশের সরকারি ও বেসরকারি অনেক মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষকস্বল্পতা রয়েছে। একই সঙ্গে ঘাটতি রয়েছে অবকাঠামোগত বিষয়গুলোতেও। দেশে ১৬ কোটি মানুষের প্রতি এক হাজারের জন্য একজন করে চিকিৎসক দরকার হলেও ১ লাখ ৬০ হাজার চিকিৎসক প্রয়োজন। এত চিকিৎসক দ্রুত তৈরি করার ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক সব সহযোগিতা প্রয়োজন যেগুলোর অনুপস্থিতি মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘ইমপোষ্টার সিনড্রোম’ ডেকে আনছে। আর একটি বিষয় এখানে সংযোজন করতে হবে। আমাদের শুধু যান্ত্রিক ডাক্তার বানিয়ে সমস্যার সমাধান করা যাবেনা। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, মানবিকতা, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেম শিক্ষা দিতে হবে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে, তা না হলে আমরা যতই ডাক্তার তৈরি করি না কেন, দেশের রোগীরা বিদেশেই চিকিৎসা নিতে থাকবে।
লেখক : মাছুম বিল্লাহ, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ভলান্টিয়ারস অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ (ভাব) এবং প্রেসিডেন্ট- ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ( ইট্যাব)।