সিলেটে সাইফুল আলম নামে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর গুলিতে সুমেল মিয়া (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
শনিবার (১ মে) বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওরে চৈতননগর গ্রামের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমেল মিয়া স্থানীয় শাহজালাল ঘাগুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে উপজেলার চৈতননগর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। গুলিতে নিহতের বাবা মানিক মিয়াসহ (৫০) চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নিহতের চাচা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনির মিয়া (৪৫) ও চাচাতো ভাই সালেহ আহমদকে (৩০) ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, চাউলধনী হাওর পাড়ের গ্রাম চৈতন্নগর ও ইসলামপুরের পাশ দিয়ে ছাতকের লামা টুকেরবাজার পর্যন্ত একটি কাঁচা সরু সড়ক রয়েছে। চৈতন্নগর থেকে নিজবাড়ি পর্যন্ত যাতায়াতের সড়কটি মাটি দিয়ে বড় করার জন্য কৃষি জমি থেকে মাটি কাটাচ্ছিলেন প্রবাসী সাইফুল আলম। শনিবার বিকেলে চৈতন্নগরের নজির আহমদের কৃষি জমি থেকে জোর করে মাটি কেটে নিচ্ছিলেন ওই প্রবাসী। তা দেখে বাধা দেন নজির আহমদের ছোটভাই মনির মিয়া, মানিক মিয়া ও ভাতিজা সুমেল মিয়া। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করেন সাইফুল আলম। এতে স্কুলছাত্র সুমেল, তার বাবা মানিক মিয়া, চাচা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনির মিয়া ও চাচাতো ভাই সালেহ আহমদ গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর অবস্থায় তাদের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সুমেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেটের ওসমানী নগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা, ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহতের ভাই নজির আহমদ অভিযোগ করেন, কৃষিক জমির মাটি জোর করে কাটায় বাধা দিলে সাইফুল, তার ভাই নজরুল আলম নজ্জু, লুৎফুর রহমান, ময়ূর মিয়াসহ ১০/১২ জন হামলা করেন। এসময় সাইফুল তার সঙ্গে থাকা বন্ধুক ও পিস্তল দিয়ে গুলি চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।