সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এনেক্স ১৯ নাম্বার কোর্টে বিভিন্ন ফৌজদারী আবেদনের শুনানি করতে এখতিয়ার দেয়া ছিল। এই বেঞ্চে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামান মামলা পরিচালনা করেন। ফৌজদারী আবেদনের মধ্যে অগাম জামিন আবেদনের শুনানির এখতিয়ারও পড়ে। সে হিসেবে গতকাল বুধবার (২৮ এপ্রিল) এ আদালতে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।
আরও পড়ুন : আনভীরের আগাম জামিন আবেদনের শুনানি হচ্ছে না
তার আবেদনটি শুনানির জন্য ২৯ এপ্রিল কোর্টের কার্যতালিকায় ছিল ১৪ নম্বর আইটেমে। আনভীরের আগাম জামিনের বিষয়টি শুনতে সাংবাদিক আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু নির্ধারিত দিনে আগাম জামিন আবেদন শুনানির এখতিয়ার এই কোর্টে নেই মর্মে আদেশ জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টে প্রশাসন তাদের ওয়েব সাইটে এ নোটিশ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে কোর্ট রুমের দরজায় সাদা কাগজে সাঁটানো কাগজে লেখা ছিল, 'বর্তমান লকডাউন এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অত্র কোর্ট আগাম জামিনের আবেদনপত্র পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করিবেন না বলে অত্র আদালত অভিমত ব্যক্ত করিয়াছেন।'
কিন্তু এই সাদা কাগজের নিচে কারও নাম পদবি ও স্বাক্ষর ছিল না।
একপর্যায়ে ভার্চুয়াল এই হাইকোর্ট বেঞ্চের আজকের কার্যক্রম শুরু হলে আদালত বলেন, 'আগাম জামিনের বিষয়গুলো রংলি লিস্টে (কার্যতালিকায়) এসেছে। আমাদের ইনস্ট্রাকশন ছিল এগুলা ভবিষ্যতে আসবে। তাই আজকের কার্যতালিকায় থাকা ১৩ থেকে ২৭ নম্বরে থাকা আগাম জামিন আবেদনের শুনানি আজ হবে না।
দৈনিক শিক্ষা পরিবারের নতুন সদস্য ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আগাম জামিন নিতে ২৮ এপ্রিল এনেক্স ১৯ নং কোর্টে আবেদন করেন সায়েম সোবহান আনভীর। ২৯ এপ্রিলের কার্যতালিকায় আবেদনটি শুনানির জন্য ছিল ১৪ নং আইটেম হিসেবে।
অনভীরের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সায়েম সোবহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। প্রতিমাসে এক লাখ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে সায়েম সোবহান মুনিয়াকে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল। আনভীর নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতো। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থাকতো। মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে বিয়ের কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল। একটি ছবি ফেসবুকে দেয়াকে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান তার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তাদের মনে হচ্ছে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।