শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, নতুন এমপিওর জন্য আবেদন পড়েছে। যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেই এমপিও ভুক্ত করা হবে। যোগ্যদের মধ্যে কেউ পাবে কেউ পাবে না, এ বৈষম্য থাকা ঠিক হবে না।
বৃহস্পতিবার(২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি আমরা কম টাকার বাজেট পাই, তাহলে কম টাকা দেব। তবে আমরা চাই, যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যোগ্য বলে বিবেচিত হবে, সবাই যেন সুবিধাটা পায়।
এসময় তিনি প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে বলেন, প্রশ্নফাঁসের সুযোগ আর নেই। তবে অনেকে পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য গুজব ছড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবকসহ যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী প্রাক-প্রাথমিক ক্লাস চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আমি যতটুকু জানি, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নতুন বছরে ক্লাস বাড়ানোর যে পরিকল্পনা ছিল, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় তা স্থগিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম নতুন বছরের শুরু থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস সংখ্যা বাড়াতে। তবে ওমিক্রনের প্রভাবে টেকনিক্যাল কমিটি ক্লাস সংখ্যা না বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন। সেটার ভিত্তিতে এখনই ক্লাস সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি খারাপ হলে টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত নেব।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে। তার আগে হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
দীপু মনি বলেন, এ বছর যেমন নভেম্বর-ডিসেম্বরে এই দুই পরীক্ষা নিতে হচ্ছে, তাঁরা আশা করছেন, যেভাবে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা করতে পেরেছেন, তাতে আগামী বছরের পরীক্ষা এত দেরি হবে না। তার আগেই নিতে পারবেন। তবে বছরের প্রথম ভাগে হয়তো পরীক্ষা হবে না। বছরের মাঝামাঝিতে হতে পারে। তাঁরা আশা করছেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দুটোই বছরের মাঝামাঝি নাগাদ হতে পারে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখের কিছু বেশি। গতবারের চেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে।