নাটোরের গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার এমদাদুল হক কোনো অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা ছাড়াই গত ২০ বছর ধরে ওই পদে শিক্ষকতা করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জাবের আলী নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এই অভিযোগ দিয়েছেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর দাখিল করা ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এমদাদুল হক জনবল নিয়োগবিধি লঙ্ঘন করে দুটি তৃতীয় বিভাগসহ কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে ২০ বছর ধরে সুপার পদে চাকরি করছেন। তিনি ইবতেদায়ি শাখার জুনিয়র মৌলভী থেকে অসৎ উপায়ে বেতন কোড নং ১৫ থেকে ৭নং কোডে বেআইনিভাবে সরকারি বেতন উত্তোলন করে আসছেন। অনুমোদন না থাকলেও কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া নিয়োগ বোর্ডের কমিটিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকেও রাখা হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালকের কাছে সুপারিশ করেছেন।
সুপার এমদাদুল হক বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। ২০১০ সালেও তার বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ করা হয়েছিল। সে সময়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তার পক্ষেই রায় দিয়েছে। মানসিকভাবে যন্ত্রণা দিতেই নতুন করে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত সুপার এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।