যোগ্যদের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে : আরেফিন সিদ্দিক - দৈনিকশিক্ষা

যোগ্যদের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে : আরেফিন সিদ্দিক

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, তদবির বা কারও চাপে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এটা কোনোভাবেই আমাদের ছাত্রদের কল্যাণে আসবে না। একজন শিক্ষক তিনি সব সময়ই শিক্ষক। ভবিষ্যৎ প্রজšে§র স্বার্থের কথা চিন্তা করে নিরপেক্ষভাবে যিনি যোগ্য, তাকেই শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিতে হবে। শিক্ষক নিয়োগে নিয়ম-কানুনের শৈথিল্য বা নীতি-নৈতিকতায় ছাড় দেওয়া- এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বার্থে শিক্ষক নিয়োগে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমাদের যে শিক্ষার মান, এটার উন্নয়নে বিনিয়োগের বিশেষ প্রয়োজন আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রশাসনে যারা আছেন তাদের যত্নশীল হতে হবে। এমন কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া দরকার যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করেন। তারা যেন আন্তরিকভাবে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে একটা পরিবারের নেতৃত্ব দিতে পারেন। এই ধরনের মনমানসিকতাসম্পন্ন মানুষদের নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুমের বিষয়ে তিনি বলেন, গণরুম তো ছিল না। গণরুম হঠাৎ করে এসেছে তার একটা বড় কারণ হলো আমরা সব শিক্ষার্থীকে আবাসিক সুবিধা দিতে পারিনি। যদি হলের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আসন সংরক্ষিত রাখা যেত তাহলে গণরুমের এ প্রয়োজন হতো না। এখানে সমস্যা হচ্ছে দুটি। একটি হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে আবাসিক সুবিধাটা দেওয়া যাচ্ছে না। একই কক্ষে অনেককে থাকতে হচ্ছে। আর এই সুযোগটা নিচ্ছে আবার কিছু ছাত্র নামধারী নেতা। এরা হয়তো কোনো একটা ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আছে। কিন্তু এরা আবার নিজের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। এখানে প্রশাসনকে শক্ত ও নিরপেক্ষ ভূমিকা নিতে হবে। ছাত্র সংগঠনের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদেরও বিষয়গুলো সঠিকভাবে দেখতে হবে। গণরুম কালচার সৃষ্টি করে ছাত্রদের নির্যাতন-নিপীড়ন করা, অন্যায়ভাবে কাউকে সুযোগ দেওয়া আবার কাউকে না দেওয়া-এগুলো তো ছাত্র নেতৃত্বের কাজ নয়। ছাত্র নেতৃত্ব ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ সমস্যা নিরসন করা সম্ভব।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর ছাত্রনেতাদের চাপ সৃষ্টির বিষয়েও কথা বলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, প্রশাসন যদি দুর্বল হয়, প্রশাসন যদি ছাত্র নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে, তাদের (ছাত্রনেতাদের) দিয়ে কিছু অন্যায়-অপকর্ম করতে চায় তখনই এই সমস্যাটা দেখা দেয়। যদি সৎভাবে প্রশাসন চালায় এবং নিয়ম-নীতি অনুযায়ী চলে তাহলে ছাত্র নেতৃত্বের এই অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তদবিরের বিষয়ে তিনি বলেন, একজন শিক্ষক যখন নিয়োগ পাচ্ছেন তিনি ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে পড়াবেন সেজন্যই শুধু নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের রোলমডেল হিসাবে। শিক্ষায় যেমন তারা পারদর্শী থাকবেন, একইভাবে মানুষ হিসাবে ভালো, আচরণে ভালো এবং তাদের সৎ হতে হবে। যাকে দেখে শিক্ষার্থীরা শিখবে সেই ধরনের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় হোক, মহাবিদ্যালয় হোক অথবা বিদ্যালয়ে।

সূত্র : দৈনিক যুগান্তর।

ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031859874725342