রাজশাহীর গোদাগাড়ীকে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তরুণ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার ললিতনগরে এই ঘটনা ঘটে। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নিহতের নাম শামীম (২১)। মোহনপুর উপজেলার বউটিয়া এলাকার পোতাহার গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া এলাকায় পেশাদার চোর হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
ইফতেখায়ের আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ঘটনার দিন রাতে ললিতনগর এলাকায় পুলিশ টহল ডিউটি পালন করছিলো। এসময় শামীমসহ কয়েকজন পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষাস্বার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন পালিয়ে গেলে শামীম নামের এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলির খোসা, একটি গুলি ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ময়নাতদন্ত ও আইনগত কার্যক্রম শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে যে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে সেটি সপ্তাহখানেক আগে কাকনহাটে ঘটে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া পরিবারের কারো। এতে ধারনা করা হচ্ছে ওই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন শামীম।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত ২০ জুন গোদাগাড়ীতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যার পর বাড়ীর পাশে খড়ের গাদার নিচে রেখে দেয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন পাশের বাড়ি ও সেই বাসা থেকে দুইটি ফোন হারিয়ে যায়। নিহত ব্যাক্তির কাছে থেকে সেই ফোন পাওয়া গেছে। তবে ধর্ষণে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, ১৯ জুন রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার একটি গ্রামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। ২০ জুন সকালে ওই শিশুর বাড়ির কাছের অপর একটি বাড়ির ছাদের ওপরে খড়ের গাদার নিচে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন ওই শিশুর দাদা।