ময়মনসিংহের নান্দাইলে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় নিহত স্কুলছাত্রী রাজিয়া সুলতানার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার বারুইগ্রামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে রাজিয়ার সহপাঠী, শিক্ষকসহ গ্রামের কয়েক শ বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন। রাজিয়াকে শেষবিদায় জানানোর সময় অনেককেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সকালে করোনার টিকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা শিকার হয় রাজিয়া। নিহত রাজিয়া বারুইগ্রামের খুররম মিয়ার মেয়ে। সে নান্দাইল রোড উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ত। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল সওজ সেতুর পূর্ব প্রান্তে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজিয়ার পরিবার জানায়, করোনার টিকা নেওয়ার জন্য রাজিয়া তার চাচাতো ভাই হামীম মিয়ার মোটরসাইকেলে চড়ে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিল। টিকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নান্দাইল সওজ সেতুর পূর্ব প্রান্তে পৌঁছালে একটি কাভার্ড ভ্যান পেছন থেকে তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাজিয়া ও হামীম ছিটকে পড়ে। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাজিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর হামীম অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, চালকসহ কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। ছাত্রীর পরিবার মামলা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় রাজিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য হাসপাতালের একটি শীততাপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সক্ষমতা থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হতো। টিকা নিতে হাসপাতালে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীদের সাবধানে সড়কে চলাচল করতে অনুরোধ করেছেন তাঁরা।