যশোরের বাঘারপাড়ায় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলার স্লিপার রাতের আঁধারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্থানীয় এক ব্যক্তির যোগসাজসে স্লিপারটি বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। উপজেলার মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ স্লিপার চুরির ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলা সদর সংলগ্ন মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের খেলার জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দুই বছর আগে একটি স্লিপার নির্মাণ করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ও মিরপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম যোগসাজস করে স্লিপারটি স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহেলের কাছে বিক্রি করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অনেক অভিভাবক এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্লিপার চুরির বিষয়ে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আমাকে একটি ভাঙারি মালামাল ক্রয় করা লোক ডেকে দিতে বলেন। আমি ভাঙারি ব্যবসায়ীকে শুধুমাত্র ফোন দিয়েছি। এছাড়া আমি আর কিছু জানিনা।’
ভাংগারি ব্যাবসায়ী সোহেল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘মিরপুর গ্রামের শরিফুল কিছু ভাঙারি মালামাল বিক্রি করবেন বলে আমাকে খবর দিয়ে স্কুলে নিয়ে যান। সেখান থেকে আমি ৪৭ কেজি ওজনের স্লিপারটি এক হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করি।’
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবারে আমি স্লিপারটি দেখে এসেছি। শনিবার সকালে চুরির বিষয়টি জানতে পারি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন লেখার দরকার নেই। আপনার সাথে আমি দেখা করবো।’
স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল করিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমি সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘স্লিপার চুরির সাথে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।