রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ঢাকাস্থ অতিথি ভবনের জমি ক্রয় সংক্রান্ত অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। উপাচার্য বরাবর এ নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
গত শুক্রবার দুপুরে আইনজীবী গোলাম রব্বানী এ নোটিশ পাঠান। নোটিশের একটি কপি গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে এসেছে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহানের নেতৃত্বে ঢাকাস্থ অতিথি ভবনের জন্য জমি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তের জন্য ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সাধারণ সভার ৩৪ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি সার্বিক তদন্ত ও পর্যালোচনা শেষে পর্যবেক্ষণসহ চৌধুরী সারওয়ার জাহানের নেতৃত্বে ঢাকাস্থ অতিথি ভবনের জন্য জমি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিকে দায়ী করে গত ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীণ আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রফিকুল হাসানের আইনগত মতামত উপেক্ষা করে ঢাকাস্থ অতিথি ভবনের জন্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় জমিটি খরিদ করা হয়। যার সাফ কবলা দলিল গত ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০ অক্টোবর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়।কিন্তু জমির প্রকৃত ক্রয় মূল্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা গোপন করে কেবলমাত্র টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে দলিল রেজিস্ট্রেশনের ৩৭ দিন পরে জমির মূল্য ১১ কোটি দেখিয়ে বিক্রেতার সাথে একটি অরেজিস্ট্রিকৃত চুক্তিপত্র সৃজন করা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, দলিলে উল্লেখিত জমির প্রকৃত মূল্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বাদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জমির মূল্য বাবদ গৃহীত অতিরিক্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা কমিটির কাছ থেকে আদায়যোগ্য। অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটনের দায়ে চৌধুরী সারওয়ার জাহান ও তার কমিটির সদস্যদের শাস্তির মুখোমুখি করা আবশ্যক।