রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষকের মর্যাদা চাই - দৈনিকশিক্ষা

রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষকের মর্যাদা চাই

অধ‍্যক্ষ মো. আবুল বাশার হাওলাদার |

সবাই বলতে পারেন, শিক্ষকের মর্যাদা তো আছেই, আবার মর্যাদার কথা বলেন কেন? এক মহান পেশা হলো শিক্ষকতা, আর এই মহান পেশায় নিয়োজিত থেকে মহান সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মর্যাদাবান শিক্ষকরা ---- এ কথা চিরন্তন সত‍্য। যুগ যুগ ধরে শিক্ষকরা মর্যাদা পেয়ে আসছেন। মহামানব, মহাপুরুষ, ধর্মপ্রচারক, রাজা--বাদশা সবাই শিক্ষকের মর্যাদা দিয়েছেন, এখনো দিচ্ছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই বলেছেন, 'আমাকে শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে বা আমি শিক্ষকরূপে প্রেরিত হয়েছি। মহামতি আলেকজান্ডার বলেছেন, " I am indebted to my father for living but to my teacher for living well".

সংস্কৃতে একটি কথা আছে, " গুরু শিষ্যকে যদি একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন, তবে পৃথিবীতে এমন কোনও জিনিস নেই, যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে"। গণপ্রজাতন্ত্রী  বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের যথেষ্ট সম্মান করেন। তাঁর শিক্ষক অধ‍্যাপক ড. আনিসুজ্জামান স‍্যারকে লাল গালিচায় হাঁটতে দিয়ে নিজে এর বাইরে হেঁটে শিক্ষককে যে সম্মান প্রদর্শন করেছেন, যা চিরদিন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

প্রয়াত হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকার সময় এক শিক্ষক সভায় বলেছিলেন, 'শিক্ষকরা আমার মাথার মণি"' তাছাড়া কখনো কখনো দেখা যায়,  অনেক মন্ত্রী, এমপি, বড়ো বড়ো আমলারা তাদের শিক্ষকদের পা ছুঁয়ে ছালাম করেন। এসব বিভিন্ন মিডিয়ায় স্থান পায় বিরল দৃষ্টান্ত প্রদর্শনের জন‍্য। বাদশাহ আলমগীর অমর হয়ে আছেন আজও সেই কাজী কাদের নেওয়াজের বিখ্যাত কবিতার উচ্চারণে, "আজ হতে চির উন্নত হলো শিক্ষাগুরুর শির"। প্রতিটি ধর্মগ্রন্থে শিক্ষকের মর্যাদা ও সম্মানের গুরুত্ব  দওয়া হয়েছে। সক্রেটিস, অ‍্যারিস্টোটল, প্লেটোর মতো শিক্ষকরা জীবদ্দশায় সম্মান না পেলেও, আজও তাঁরা মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছেন। তবে তাঁদের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। 

এদেশে সবাই বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা-- শিক্ষক সবার শ্রেষ্ঠ। শিক্ষা যদি হয় জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষক হবেন শিক্ষার মেরুদণ্ড এবং এটাই আমরা বলে থাকি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে একজন সাধারণ মানুষ বলবেন শিক্ষকরা মর্যাদাবান এবং তারাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় শিক্ষকরা যথাযথ মর্যাদা পান কি না, আমি চিন্তা-ভাবনা না করেই স্বাচ্ছন্দ‍্যে উত্তর দেবো- এখানে শিক্ষকের মর্যাদা নেই বা দেয়া হয় না। এর ব‍্যাখ‍্যা সহজেই বিশ্লেষণ করছি-- শুনুন। আমি আবারও বলছি শিক্ষকরা মর্যাদা পান না। শুধু বাংলাদেশে নয়  বিশ্বে কোথাও শিক্ষকের মর্যাদা নেই। তবে যতদূর জানা যায় কোনো কোনো দেশে ইদানিং শিক্ষকের মর্যাদা রাষ্ট্রীয়ভাবে দেয়া হয়। এ ব‍্যাপারে অন‍্য লেখায় আলোচনা করব।

অনেক শিক্ষক তো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদক পাচ্ছেন। এটা কী মর্যাদা নয়? তবে পদক পাচ্ছেন শিক্ষক হিসেবে নয়, নিজের প্রতিভা বিকশিত করে ব‍্যাক্তিসত্তা উদভাসিত করে, সমাজের মুখ আলোকিত করে নতুন নতুন সৃষ্টির মাধ্যমে। শিক্ষকের মর্যাদা যদি থাকতোই, তাহলে শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস করানো, লোহার রড দিয়ে পেটানো, মলমূত্র মাথায় ঢেলে দেয়া, মাথা ন‍্যাড়া করে ঘোরানো, কথায় কথায় চাকরিচ‍্যুত করা, মামলা দিয়ে হয়রানি করা -- এসব হতো না। কারণ, রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষকের মর্যাদা নেই।

অন‍্যান‍্য সকল পেশার মানুষের মর্যাদা নির্ধারণ করা আছে। যেমন, সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। এ রকম অন‍্যদের জন‍্যও আছে। শিক্ষকের চাকরি নিয়ন্ত্রণ করা হয় স্থানীয় প্রশাসন, আমলা ও বিতর্কিত পরিচালনা পরিষদের দ্বারা। 

প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে, "মুই কার খালু?" এদেশে শিক্ষকরা কার খালু এর জবাব নেই। শিক্ষককে জাতি গড়ার কারিগর বলা হলেও, এ কথার কোনো ভিত্তি নেই-এটা কথার কথা এবং এই কথা বলেই তাদের নিষ্পেষণ, নির্যাতন করা হয়। এর কারণ, শিক্ষকরা পেশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পেশাগত, প্রকৃতিগত, ও সামাজিকভাবে অনেকটা সহনশীল, শালীন, মার্জিত হয়ে থাকেন। এটাকে দুর্বলতা ভেবে পেশীশক্তি শুরু করে তাদের তাণ্ডবলীলা চালাতে। যে-কোনো সরকারের সময় দুর্বৃত্তরা--সন্ত্রাসীরা শিক্ষকদের ওপর নানাভাবে অত‍্যাচার চালিয়েছে এবং চালাচ্ছে। তাদের শিকারে পরিণত হয় শিক্ষক সমাজ। তাছাড়া চলমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন‍্য প্রণীত নীতিমালার মাধ‍্যমে শিক্ষকদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশে শিক্ষার চারটি স্তর বিদ‍্যমান আছে। প্রাথমিক, মাধ‍্যমিক, উচ্চমাধ‍্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা। এখানে সরকারি, বেসরকারি ছাড়াও নানা ভাগে বিভক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাব‍্যবস্থা। ৯৭ শতাংশেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি ব‍্যবস্থাপনায় পরিচালিত। বাকিরা সরকারি এবং তারা সরকারি সকল আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন। তবে তারা যথাযথ মর্যাদা পাচ্ছেন না। তাই সব প্রতিষ্ঠান সরকারি হলেই যে শিক্ষকরা মর্যাদাবান হবেন তা নয়। সরকারি হলে শুধু শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য কমবে এবং মর্যাদাবান হওয়ার প্রথম ধাপে উন্নীত হবেন শিক্ষকরা। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়। শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের জন‍্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রদানের কথা আছে। শিক্ষকরা ফুলে ফেঁপে আনন্দে গদগদ করছিলেন। এখন সবাই সে কথা ভুলে গিয়েছেন।  স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে মর্যাদার একাংশ পূরণ হতো।

আসলে শিক্ষকরা কেমন মর্যাদা পাবেন তা নির্ধারণ করবেন রাষ্ট্র তথা সরকার। ইউনেস্কো-আইএলও-এর ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষকরা হবেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী নাগরিক। কিন্তু এর লেশ মাত্রও বাস্তবায়ন হয়নি এদেশে। দেশের সবচেয়ে বরেণ্য শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তারাও তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনে মাঝে মাঝে মাঠে নামেন। কিছুটা অর্জন হলেও তা বলার মতো নয়। একজন শিক্ষক কতটুকু মর্যাদা পাবেন তা রাষ্ট্রীয়ভাবে কোথাও উল্লেখ নেই। শুধু পেশাগত তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমলাদের মর্যাদা দেয়া হয়।

যদি এমন বলা হতো,  একজন সিনিয়র সচিব একজন অধ‍্যাপকের মর্যাদা পাবেন তাহলে ধরে নিতাম শিক্ষকের মর্যাদা যথাযথ আছে। অন‍্য পর্যায়ের শিক্ষকদের কোনো মর্যাদাই নেই বললেই চলে। বিসিএস শিক্ষা ক‍্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা কতটুকু মর্যাদা পান এ বিষয়ে আলোচনা করছি। তারা নিয়ন্ত্রিত হন বিসিএস প্রশাসন অর্থাৎ আমলাতন্ত্র দ্বারা। তাদের পদোন্নতি, বদলীসহ সকল প্রক্রিয়া আমলানির্ভর। নির্ধারিত অনুপাত অনুযায়ী তাদের পদোন্নতি হয়ে থাকে। এখানেই শেষ নয়, চাকরিচ‍্যুতি, সাময়িক বরখাস্ত-সহ নানা রকম শাস্তিমূলক ব‍্যবস্থা নেয়া হয় আমলাদের মাধ‍্যমে। আবার তারা কেউ কেউ নিজেদের শিক্ষক পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, কর্মকর্তা পরিচয়েই থাকতে চান। এর কারণ ঐ পুরোনো কথা, শিক্ষকের মর্যাদা নেই। শিক্ষকের মর্যাদাই যদি থাকত উপসচিব পদে অন্তর্ভুক্তির জন‍্য তারা প্রতিযোগিতায় নেমে পড়তেন না। নিজেদের অধিকার আদায়ে তাদের কোনো সক্রিয়তা পরিলক্ষিত হয় না। মনে হয় তারা যা পেয়েছে তা-ই যথেষ্ট। 

আবার দেখা যায়, নতুন সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষকরা যাতে ক‍্যাডারভুক্ত না হয় সেজন‍্য কঠিন আন্দোলনে নেমেছিলেন তারা। এটা নিজেদের বিরুদ্ধ আন্দোলন বলে আমি মনে করি। তবে তারা যতই আত্মতুষ্টিতে থাকুন না কেন তারা শিক্ষকের মর্যাদা পাচ্ছেন না, এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়--যা ওপরে বলেছি।

আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শিক্ষকদের উচ্চতর স্বতন্ত্র বেতন প্রদান করা হয়। শ্রীলঙ্কায় শিক্ষকদের মন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হয়। বাংলাদেশে শিক্ষকের মর্যাদার কোনো মানদণ্ড নেই। সব শ্রেণির শিক্ষক নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয় ক্ষেত্র বিশেষে আমলা, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষা প্রশাসক দ্বারা। শুধুমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনেকটা নিয়ন্ত্রণমুক্ত। তবে মর্যাদার ক্ষেত্র তারাও পেছনে পড়ে আছেন। সবচেয়ে বেশি হীনমন্যতায় ভোগেন বেসরকারি শিক্ষকরা। তারা রাষ্ট্রব‍্যবস্থার মর্যাদার কোনো পর্যায়ে পড়েন না। 

দেখা গেছে কোনো কোনো অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের দর্শকের সারিতে বসে থাকতে। বেশি হলে মঞ্চের পেছনের ঠাঁই হয় তাদের। অথচ গণ্ডমূর্খরাও প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথির আসন অলংকৃত করেন। কখনো কখনো এসব অতিথিদের ফরমায়েশ পালনে ব‍্যস্ত থাকতে হয় শিক্ষকদের। তাহলে দেখুন শিক্ষকের মর্যাদা কোথায়। তবে যেসব শিক্ষক নানাভাবে সম্মানে ভূষিত হন তা শুধু নিজের বিশেষায়িত কর্ম ও গুণের জন‍্য, রাষ্ট্রীয় বিধিবিধানে নয়।

একটি কথা না বললেই নয়, একজন শিক্ষক সমাজের অন‍্যদের মতো নাগরিক। তার যেমন জাতি গড়ার কাজ করতে হয় তেমনি নিজের জীবন জীবিকার জন‍্য লড়াই করতে হয়। পথচলায় কখনো হোঁচট খেতে হয়, কখনো সাফল্য আসে, আবার ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় ভুল হয়ে যায়। আর এই ভুলের খেসারত দিতে হয় জঘন্য ব‍্যক্তিদের কাছে। আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে পারি অন‍্য সকল পেশার মানুষের চেয়ে শিক্ষকরা নীতি --নৈতিকতার দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ অবস্থানে আছেন। তাদের কারণে--অকারণে বিচারের নামে নির্যাতন করেন সমাজের কুখ্যাত কুলাঙ্গারের দল। 

মহামতি আলেকজান্ডার তার শিক্ষকের গুণকীর্তন করলেও তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষকের কতটা মর্যাদা দিয়েছিলেন তা আমার জানা নেই।

বাদশাহ আলমগীর শিক্ষকের শির উন্নত বললেও তা বলেছেন নিজ পুত্রের শিক্ষককে খুশি করার জন‍্য। তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষকের মর্যাদা দিয়েছেন এমন নজির নেই। আমাদের দেশেও নিজ শিক্ষককে মর্যাদা দেয়ার প্রচলন থাকলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষকের মর্যাদা দেয়ার কোনো উদ‍্যোগ এখনো দেখা যায়নি। 

আমরা সবাই বলে থাকি, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা আর এই পেশায় নিয়োজিত শিক্ষকরাও মহান। কিন্তু তাদের মর্যাদা কেমন হবে সে বিষয়ে কোনো দিক নির্দেশনা কোথাও নেই। অনেক লেখায় ও ভাষণে দেখা যায় শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব‍্য নিয়ে উপদেশের ছড়াছড়ি। কোনো কোনো সুবিধাভোগী বেসরকারি সংস্থা শিক্ষকদের দোষ ধরতে ব‍্যস্ত থাকেন এবং নানা রকম ছবক দিচ্ছেন পড়ালেখার মানোন্নয়নের জন্য। কিন্তু শিক্ষকদের জন‍্য করণীয় কী তা নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই। এখন সময় এসেছে শিক্ষকের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার।

কেমন মর্যাদা পেলে শিক্ষকরা মর্যাদাবান হবেন আমার প্রস্তাবনা হচ্ছে, এক শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা সবচেয়ে বেশি দিতে হবে। দুই, শিক্ষক হবেন রাষ্ট্রের সবচেয়ে মর্যাদাবান নাগরিক এবং এই মর্মে সাংবিধানিক নির্দেশনা থাকতে হবে। তিন, শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। চার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্বনামধন্য শিক্ষক ও শিক্ষাবিদের দ্বারা পরিচালিত হবে। পাঁচ, শিক্ষায় সব ধরণের বৈষম্য নিরসন করতে হবে। ছয়, আধুনিক ও বিশ্বমানের শিক্ষাব‍্যবস্থা চালু করতে হবে। পরিশেষে আমি বলতে চাই, জাতিকে উন্নতির শিখরে নেয়ার জন‍্য যত পরিকল্পনা করা হোক, বিশ্বমানের  শিক্ষা বাস্তবায়নে যত উদ‍্যোগ গ্রহণ করা হোক -- সবই ভেস্তে যাবে যদি শিক্ষকের মর্যাদা যথাযথ নিশ্চিত করা না হয়।

লেখক : অধ‍্যক্ষ আবুল বাশার হাওলাদার, সভাপতি, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন।

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051391124725342