রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৯ খিষ্টাব্দের স্থগিত পরীক্ষাগুলো আগামী ২০ জুন এবং ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো আগামী ৪ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে। সশরীরে সব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও হলগুলো বন্ধই থাকছে। এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে রাজশাহী আসতে শুরু করে দীর্ঘসময় বাড়িতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা। যদিও করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির ফলে রাজশাহীতে আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। লকডাউনের মধ্যে পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসতে দুর্ভোগে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। একদিকে নতুন মেস খুঁজতে গিয়ে নতুন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। কড়াকড়ি লকডাউনে পছন্দমত মত মেস খুঁজে পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, এরই সাথে যুক্ত হয়েছে খাবারের সমস্যা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, রাজশাহীতে এসে একটা মেসে উঠলাম, কিন্তু ছাত্রসংখ্যা কম থাকায় মেসের মিল চলছে না। এদিকে হোটেলও বিকেল পাঁচটার পর বন্ধ। খাবার নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী সুজন হাওলাদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা দুই ভাই একবোন আমার বাবার তিন বিঘার মতো জমি আছে সেটা ব্যাংকে বন্ধক রাখা। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের আমার মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২১ এ তা শেষ হবে কি না অনিশ্চিত। কিন্তু বাবা বারবার বলছেন, ‘জমি তো মনে হয় ব্যাংক নিয়ে নেবে’। পরীক্ষাগুলো হচ্ছেনা বলে চাকরিও অনিশ্চিত হয়ে আছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রফেসর ড. লিয়াকত আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রাজশাহীর বর্তমান পরিস্থিতিটা সবারই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং সবার জন্যই কষ্টের। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলাটাও আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আমরাও প্রশাসনের নির্দেশনা মানতে বাধ্য। শিক্ষার্থীরা যে যেখানে আছে সেখানে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করাটাই মঙ্গলজনক হবে। আর যারা রাজশাহীতে অবস্থান করছেন তাদের একটু কষ্ট করতেই হবে।