লাইভ ক্লাস চালানোর অনুমতি ও সরকারি অনুদান চায় কোচিং মালিকরা - দৈনিকশিক্ষা

লাইভ ক্লাস চালানোর অনুমতি ও সরকারি অনুদান চায় কোচিং মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অনলাইনে লাইভ ক্লাস চালানোর অনুমতি ও সরকারের কাছে আর্থিক অনুদান দাবি করেছে ফ্রিল্যান্স কোচিং সেন্টার মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ। গতকাল ৩ মে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে লিখিত চিঠিতে  এ দাবির কথা জানানো হয়। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর লেখা চিঠিতে বলা হয়,  ‘নেত্রী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার মানসে আপনি শিক্ষা খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। ভয়াল  করোনার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থাও  আজ সমস্যার মুখোমুখি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা সেবা দানকারী ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ। এমতাবস্থায় শিক্ষা ব্যাবস্থায় গতি সঞ্চার ও শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার ক্ষতি পূরণে ছায়া শিক্ষা সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সংগঠন "এসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ" হতে পারে বিশেষ সহায়ক শক্তি।’

চিঠিতে বলা হয়, ‘অবিলম্বে সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি আমাদের সংগঠনটিকে অনলাইন লাইভ ক্লাসের অনুমতি দিলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি প্রশ্নোত্তর পর্বও চলমান রাখা সম্ভব। যা অনেকাংশে ক্লাস রুমে বসে ক্লাস করার মতই হবে।’ 

 শ্যাডো এডুকেশন-এর আহ্বায়ক ও ই হক কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ ইমাদুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে দাবি করা হয়, চিঠিতে দাবি করা হয়, অন্যান্য সকল ক্ষেত্রের ন্যায় শিক্ষাক্ষেত্রে যে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে তাতে এদেশের প্রায় লক্ষাধিক ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও জড়িত। ক্লাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে এই ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বছরের একটা দীর্ঘ সময় স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকে এবং সময় স্বল্পতার কারণে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে উক্ত ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। যেখানে কর্মরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র ও মেধাবী কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী। যারা দরিদ্র পিতা-মাতাকে চাপ না দিয়ে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারছে নিজেদের পড়াশুনার খরচ। আমরা বিশ্বাস করি আপনি এ সমস্ত বিষয়ে অবগত আছেন।

চিঠিতে বলা হয়, ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়া বাসায় ও শতভাগ নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত। এই করোনার মহামারিতে  দেশের প্রায় লক্ষাধিক ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে। যেখানে কর্মরত প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ। যদি এইভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ রাখতে হয় তাহলে আপনার সহযোগিতা ছাড়া পুনরায় চালু করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই অন্যান্য ক্ষেত্রের ন্যায় ব্যক্তিমালিকানাধীন এই ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও আপনার সুদৃষ্টি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031599998474121