ক্রিকেটের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। একগাদা রেকর্ড দিয়ে মাঠের তো বটেই, মাঠের বাইরেও শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের জীবনটাকে আদর্শ হিসেবে নিতে পারেন তরুণ ক্রিকেটাররা। অথচ সেই শচীনও নিয়ম ভেঙেছিলেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একটি রাতে শচীন নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে আসেন। সেই রাতে শচীন ছিলেন উন্মাতাল। নেচে-গেয়ে নিজেদের সাফল্য উদযাপন করেন। রূপকথার সেই রাতে শচীন টেন্ডুলকার জিতেছিলেন বিশ্বকাপ। তাই তার আনন্দ ছিল বাঁধনহারা। ৯ বছর আগে জেতা বিশ্বকাপের রাতের স্মৃতিচারণ করেছেন হরভজন সিং।
শচীনকে কেমন দেখেছিলেন সেই রাতে? উত্তরে হারভাজন বলেছেন, ‘জীবনে ঐ প্রথম দেখেছিলাম, শচীন আনন্দে নাচছে। চারপাশে কে আছে না আছে, তা নিয়েই মাথাই ঘামাচ্ছে না ও। সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছিল শচীন। ঐ ঘটনা জীবনে ভুলব না।’
কপিল দেব ভারতকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে। ২৮ বছর পর ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে মাহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ওঠে বিশ্বকাপের মুকুট। টেন্ডুলকারের সেটি ছিল শেষ বিশ্বকাপ। এর আগে আরও চারটি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। কিন্তু শিরোপা অধোরা ছিল প্রত্যেকবার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একবার শিরোপা জিততে চেয়েছিলেন টেন্ডুলকার। ঘরের মাঠে স্বপ্ন পূরণের আনন্দ তাই ছিল বাঁধনহারা, দূরন্ত। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ভারত। শচীন টেন্ডুলকার তখন দুর্দান্ত ফর্মে। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের বিশ্বকাপে ভারত আটকে থাকে সুপার সিক্সে, ২০০৩ বিশ্বকাপে ফাইনাল খেললেও শিরোপা হারায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নেয় ভারত। অবশেষে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে নিজেদের মাঠে শিরোপা জেতে ভারত।
হারভাজন সেই রাতে কী করেছিলেন? উত্তরে ভাজ্জি বলেছেন, ‘সেই রাতে আমি বিশ্বকাপ জয়ের পদকটা নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। যখন ঘুম ভাঙল, তখন দেখলাম পদকটা আমার সঙ্গে রয়েছে। অনুভূতিটা বলে বোঝানো যায় না। অবিশ্বাস্য একটা মুহূর্ত ছিল বিশ্বকাপ জয়। এখনো গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে সে দিনের কথা ভাবলে। বিশ্বকাপ জয়টা আমাদের কাছে বিশেষ একটা মুহূর্ত ছিল। সবার সামনে বোধহয় সেই প্রথম আমি কেঁদেছিলাম। তখন কী করব, বুঝতে পারছিলাম না।’