জাতীয় নেতা শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের (১৯২৩-৭৫) ৯৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ কামরুজ্জামানের অবদানের কথা জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রাখবে। ওই সময় মুজিবনগর সরকার গঠন এবং যুদ্ধ পরিচালনায় তার দক্ষতা ও যোগ্যতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। দীর্ঘ ৩৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনোই নির্বাচনে পরাজিত হননি এবং সব সময় জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করেছেন।
এই মহান ব্যক্তিত্ব ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুন বৃহত্তর রাজশাহী জেলার নাটোর মহকুমার বাগাতিপাড়া থানার মালঞ্চী রেলস্টেশনসংলগ্ন নূরপুর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস রাজশাহী শহরের কাদিরগঞ্জ মহল্লায়। তার দাদা গুলাইয়ের জমিদার হাজী লাল মোহাম্মদ সরদার (১৮৪৮-৩৬) ব্রিটিশ আমলে একজন রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক ছিলেন। কামরুজ্জামানের বাবা আবদুল হামিদ মিয়া (১৮৮৭-১৯৭৬) ছিলেন একজন বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সমাজসেবক।
বিভিন্ন কর্মসূচি :
শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন আয়োজিত কর্মসূচিতে রয়েছে, সকাল ৯টায় শহিদ এএইচএম কামরুজ্জামানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে নগর ভবনের মসজিদে মাদ্রাসাছাত্রদের মাধ্যমে পবিত্র কুরআন খতম। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে নগর ভবন চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শহিদ এএইচএম কামরুজ্জামানের মাজার চত্বরে শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া। বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শিশুদের নিয়ে নগর ভবনে কেক কাটা। বাদ জোহর নগর ভবনের ওয়াক্তিয়া মসজিদসহ মহানগরীর সব ওয়ার্ডের মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনা। দুপুর ২টায় হজরত শাহ্ মখদুম দরগা মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঝে খাবার পরিবেশন ও বিশেষ দোয়া। সন্ধ্যা ৬টার পর হতে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের বর্ণাঢ্য জীবনীর ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন।
এছাড়া রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে সকাল ১০টায় কুমারপাড়ায় দলীয় কার্যালয় থেকে র্যালিসহ শহিদ এএইচএম কামরুজ্জামানের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ। বিকাল ৫টায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে শহিদ এএইচএম কামরুজ্জামান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।