রাজধানীর মিরপুরের শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল এন্ড কলেজের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অস্বাভাবিক বেশি ফি আদায় করছে। এমন অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। করোনার সময় ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অমানবিক।
অভিভাবকরা জানান, ১০ম শ্রেণির ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৪১৫ টাকা। এই ভর্তি ফি অমানবিক ও অযৌক্তিক দাবী করেন হাবিবুর রহমান নামের একজন অভিভাবক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন অভিভাবক বলেন, ঢাকার মিরপুর-১৪ তে অবস্থিত শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজে তার মেয়ে এ বছর নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। ইতোমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ নবম শ্রেণিতে ভর্তি ফি ৯ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। যা করোনার সময়ে খুবই অযৌক্তিক এবং অমানবিক।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি ভর্তির ক্ষেত্রে নমনীয় ও মানবিক হতে বললেও শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজে তা মানা হচ্ছে না। এতে করে হাজার হাজার নিরীহ অভিভাবক সমস্যায় পড়ছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরেও অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে বারবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ করছেন না প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা।
প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন ব্যবস্থা খুবই নাজুক বলেও অভিভাবকদের অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ফি নির্ধারণ করে দিয়ে গত ১৮ নভেম্বর নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। সেখানে বলা হয়, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো (এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুধু টিউশন ফি গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনো ফি গ্রহণ করবে না বা করা হলে তা ফেরত দেবে অথবা তা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করবে। এছাড়া অন্য কোনো ফি যদি অব্যয়িত থাকে, তা একইভাবে ফেরত দেবে বা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যদি কোনো অভিভাবক চরম আর্থিক সংকটে পতিত হন, তাহলে তার সন্তানের টিউশন ফির বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নেবেন। কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন যেন কোনো কারণে ব্যাহত না হয়, সে বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যত্নশীল হতে হবে। পাশাপাশি বলা হয়, ২০২১ সালের শুরুতে যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তাহলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন, উন্নয়ন ফির নামে অর্থ নিতে পারবে না।