করোনার টিকা নিতে এসে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে বসে ফটোসেশন করে শিক্ষার্থীরা। নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কেউ কেউ জুতা পায়ে বেদিতে বসে মোবাইল ফোনে গেমস আড্ডায়ও মেতে ওঠে। কোনো কোনো শিক্ষার্থী মূল বেদিতে জুতা পায়ে ছোটাছুটি করে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এমন চিত্র দেখা যায়। এ ঘটনায় পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার অবমাননা করেছে, সেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শোকজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার থেকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা কর্মসূচি। উপজেলার ১৪ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে। টিকা নিতে এসে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে ফটোসেশন করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থী আতিক হাসান বলেন, টিকা দিতে দেরি হচ্ছিল। প্রচণ্ড ভিড়। বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরার সময় হঠাৎ করেই জুতা পায়ে উঠেছি। এটা আমাদের ভুল হয়েছে, বুঝতে পারিনি।
উপজেলার বিজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, এখানে অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী টিকা নিতে এসেছে। তবে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা ভুল করেছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাবিবুর রহমান বলেন, শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়ে ওঠা খুবই দঃখজনক। এটি দেশ ও জাতির জন্য লজ্জার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিফা নুসরাত বলেন, শিক্ষার্থীদের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেয়া হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার অবমাননা করেছে, সেই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শোকজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদত হোসেন প্রামাণিক বলেন, উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। তবে যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার জুতা পায়ে উঠেছে সেসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের শোকজ করার জন্য শনাক্ত করা হচ্ছে।