শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে উপাচার্য কেবল ব্যর্থই হননি, তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশ দিয়ে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তাই উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’।
গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’। এতে দেশের ১১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বাক্ষর করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘একটি ছোট পরিসরে, ন্যায্য কিছু দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষ ও উপাচার্যের কাছে দাবি জানাতে যায়। আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে, উল্টো দুর্ব্যবহার পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। দাবি না মেনে উল্টো শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশ দিয়ে হামলা করানো হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁরা আচার-আচরণে প্রায়ই শাসকের ভূমিকায় আবির্ভূত হন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রজার মতো আচরণ করা হয়। তাঁদের শাসন এক পর্যায়ে স্বৈরশাসনে রূপ নেয়। অথচ উপাচার্য ও প্রাধ্যক্ষ—এসব পদে শিক্ষকরাই থাকেন। নিজের পদ-গদি রক্ষার জন্য এসব শিক্ষক শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হন না। এমনকি গোয়েন্দাদের সাহায্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের নজরদারি করেন, মামলা ঠুকে দেন, রক্তাক্ত করেন।’