শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিন ক্যাম্পাসে গেলে তাকে বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও করার নির্দেশ সম্বলিত একটি ফোন কল রেকর্ডের অডিও ফাঁস হয়েছে ফেসবুকে।
ফাঁস হওয়া ফোন কল রেকর্ডের অডিওতে শোনা যায়, খোদ সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান তার অনুসারী শাখা ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক সাজিবুর রহমানকে কথোপোকথনের এক পর্যায়ে এমন নির্দেশ দেন।
৯ নভেম্বর বেলা ১১টা ১৪ মিনিটে রেকর্ড হওয়া ফোন কলের অডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
২২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের ওই অডিওর একপর্যায়ে শোনা যায়, শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তাকে গেস্ট রুমে নিয়ে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে ও ভিডিও করে রেখে দিতে সাজিবুর রহমানকে নির্দেশ দেন ইমরান খান।
অডিওর ১৪ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে ইমরান খান সাজিবুর রহমানকে বলেন, ‘ও (রুহুল আমিন) যদি ২৮ তারিখ ক্যাম্পাসে আসে গেস্ট রুমে নিয়া যাবি, নিয়া যাইয়া বাইন্ধা কাপড়-চোপড় সব খুইলা ফেলতে পারবি না??.....কাপড়-চোপড় খুইলা যাস্ট বলবি আসসালামু আলাইকুম, আর ক্যাম্পাসে আসবি না। বুজ্জিস না, ভিডিও একটা কইরা রাইখা দিবি, জুতার বাড়ির ভিডিওটা আমি করে রেখে দিছি, মনে কর দুইটা এটাচ করে বাজারে ছেড়ে দিলে.....।’
এ কথোপোকথন ফাঁসের পর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যার ঘোষণা দেন সাজিবুর রহমান। পোস্ট দেয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টাও চালান বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান তার রাজনৈতিক সহযোগীরা।
কিন্তু ইমরান খানের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মহলের অধিকাংশ নেতাকর্মীই মনে করছেন, অডিও ফাঁসের পর ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করতেই এ নাটক সাজানো হয়েছে।
অডিওর বিষয়ে জানতে উপ-দফতর সম্পাদক সাজিবুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, ‘সাজিবের অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে মোবাইল তিন মাস আগে ছিনিয়ে নিয়েছিল, সেখান থেকে অডিও কেটে জোড়া লাগিয়ে প্রকাশ করা হচ্ছে। অলরেডি এটার বিরুদ্ধে একটা মামলা চলমান আছে। সাজিব এখনও অসুস্থ, সুস্থ হলে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’
অন্যদিকে শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।