সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যেই শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী সাহার নেতৃত্বে পাঁচজন শিক্ষক সাধারণ সম্পাদক মহিবুল আলম, ভৌত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার, ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন খায়রুল ইসলাম রুবেল এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নেতারা বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতিনিধি দলটি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে শুক্রবার রাতে ঢাকায় পৌঁছায়।
এদিকে শাবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাগাতার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
গত ১৩ আগস্ট থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে।
গত রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে শাবি শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে পরদিন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি এবং ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা পদত্যাগ না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন চলবে। অনশনকারী শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের খাদ্য বা তরল জাতীয় খাবার খাবেন না। যদি অনশনের কারণে কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়, তাহলে দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং উপাচার্যকে নিতে হবে।