সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের পাশে হাতে লেখা দুটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে দুই তরুণ।
একজনের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা- ‘বর্বর ভিসির অপসারণ চাই, সংহতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’, অপরজনের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা- ‘বর্বর ভিসির অপসারণ চাই। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার কর। সংহতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’
রোববার বিকাল ৩টার দিকে শাবিপ্রবির উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের দাঁড়িয়ে তাদের দাবি প্রতি সংহতি জানান তারা।
কথা বলে জানা যায়, তারা দুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এসেছেন ঢাকা থেকে। একজনের নাম নাইম হাসান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। অপরজনের নাম মাহফুজুর রহমান; তিনি ১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা ঢাকা থেকে সংহতি নিয়ে এসেছি। আমরা শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এখানে এসেছি। রাতেই ঢাকায় ফিরে যাব। গিয়ে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সংহতি আন্দোলন গড়ে তুলব।
নাইম হাসান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সংহতি সমাবেশ করেছি। এর অংশ হিসেবে আমরা দুজন এখানে এসেছি।
এদিকে রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচির ১০১ ঘণ্টায় দাঁড়িয়েছে। এখনো অনশনে আছেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে গণঅনশনে বসেছেন আরও ৫ শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে শনিবার গভীর রাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনলাইন মাধ্যমে আলোচনা হয়। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান এবং দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসতে অনুরোধ করেন। তখন শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানালে রোববার ফের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে অনশন না ভাঙায় রোববার আর আলোচনা হয়নি।
রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি সবাই অসুস্থ অবস্থায় অনশনস্থলেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।