রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি এলাকার ওই মেডিকেল কলেজ এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, তাহসিন, বিদিশা, রায়হান, সাব্বির, সুমন, সুসমিতা, ফউজিয়া, মেধা, নিশাত, রিফাত, মিথিলা, ফাইমা, জেবাসহ কয়েকজন। তারা মেডিকেল কলেজের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিকেলে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জিনিসপত্র নিতে যান। এসময় প্রথমে তাদের হোস্টেলে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
কিছুক্ষণ পরে জানানো হয়, হোস্টেলে ঢুকতে দেয়া হবে। এর কিছুক্ষণ পরে মেডিকেলের কলেজ গেট বন্ধ করে এলোপাথারি মারধর শুরু করে এমডির ভাই মিঠু ও টিটোসহ কয়েকজন। কর্তৃপক্ষের কথায় এমন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
রামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের কনস্টেবল মেসকাত দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘আমি ১২ জনকে পেয়েছে। তাদের হাসপাতালের ৩১,১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েজনকে তাড়াহুড়ো করে ওয়ার্ডে নিয়ে গেছে। বিস্তারিত জানা যায়নি।’
চন্দিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুম মনির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘শুনেছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।’
শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমি মেডিকেল কলেজের অফিসে বসে কাজ করছিলাম। বাইরে হইচই শুনে এসে দেখে শিক্ষার্থীরা রাস্তায়। তাদের সাথে কথা বলতে পুলিশ আসে। তখন শিক্ষার্থীরা চলে যায়। তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার (২৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে টিম আসার কথা রয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী পরিবেশ অস্থিতিশীল করছে কেনো জানি না।’