খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করতে অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১৪তম সভায় এ সংক্রান্ত সংশোধিত নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে এ প্রস্তাব বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজের সভায় উপস্থাপিত হয়, যা একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিন্ডিকেটে সুপারিশ করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি ইতোমধ্যে জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল ডিসিপ্লিনের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স), এমফিল এবং পিএইচডি গবেষণার জন্য চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছর থেকে অনুদান দেওয়া হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ডিসিপ্লিন প্রধানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্কুলের ডিন বরাবর আবেদন করতে বলা হয়েছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। গবেষণার অনুদান সংক্রান্ত নীতিমালা ও আবেদন ফরম সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনে পাওয়া যাবে। ডিসিপ্লিন বাছাই কমিটি দ্বারা প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা যোগ্যতার মানদণ্ডের ভিত্তিতে মাস্টার্সের থিসিস টার্মে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা হারে গবেষণা অনুদান পাবেন। এছাড়া এমফিল ও পিএইচডি গবেষণার জন্য প্রতি মাসে যথাক্রমে ৮ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকা হারে গবেষণা-অনুদান পাবেন তারা। এ গবেষণা অনুদান প্রতি ৬ মাস পরপর প্রদান করা হবে ও অনুদানের সময়সীমা হবে মাস্টার্সের জন্য ১২ মাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে যাঁরা পূর্ণকালীন বা খণ্ডকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে এমফিল বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হবেন, সেসব গবেষককে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ২৪ মাস ও ৪৮ মাসের জন্য গবেষণা-অনুদান দেওয়া হবে। শিক্ষক ব্যতীত যারা পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে এমফিল বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হবেন, সে সকল গবেষককে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ২৪ মাসের জন্য গবেষণা-অনুদান প্রদান করা হবে। যদি গবেষণার সময়সীমা কোনো কারণে অতিক্রান্ত হয়, তবে অতিরিক্ত সময়ের জন্য এই গবেষণা-অনুদান প্রযোজ্য হবে না। নির্ধারিত সময়ের আগেই গবেষকের চূড়ান্ত প্রতিপাদন বা সাক্ষাৎকার-পর্ব (ডিফেন্স/ভাইভা) অনুষ্ঠিত হলে, ঐদিন থেকেই এই গবেষণা-অনুদানের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। তবে যেসব গবেষক অন্য কোন উৎস থেকে গবেষণা-অনুদান পাবেন না তারাই কেবল এমফিল বা পিএইচডি গবেষণার জন্য এ অনুদান প্রাপ্য হবেন।
জানা যায়, প্রাথমিকভাবে প্রতি ডিসিপ্লিন থেকে ২ জন মাস্টার্স, ২ জন এমফিল ও ২ জন পিএইচডির জন্য মনোনীত হবেন। এ খাতের তহবিল থাকা সাপেক্ষে এই সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। গবেষণা প্রোগ্রামের মেয়াদ ১২ মাস পেরিয়ে গেলেও একজন শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ এক বছরের জন্যই গবেষণা অনুদান প্রদান করা হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা উদ্বুদ্ধ করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স), এমফিল, পিএইচডির এই অনুদান সেই পদক্ষেপের অংশ।