সরকার বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা করেনি। শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে সরকার মুনাফেকি করছে। এমন দাবি করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া। তিনি শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান।
জোট নেতারা বলেন, সরকার আমাদের জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দিয়েও করেনি। কথা দিয়ে কথা না রাখা মুনাফেকির লক্ষণ। সরকারকে বলব মুনাফেকি বাদ দিন। আজকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন আপনারা।
সোমবার (৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এতে সভাপতিত্ব করেন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষাকে বাঁচাতে হলে এখন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। দেশের প্রতিটি শিক্ষক কর্মচারীর প্রাণের দাবি চাকরি জাতীয়করণ। এই দাবি পূরণে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই।
সেলিম ভূঁইয়া আরও বলেন, ছাত্র বেতন, সেশন চার্জ, প্রতিষ্ঠানের সম্পদ থেকে গৃহীত অর্থ, রিজার্ভ ফান্ড ও সাধারণ তহবিলের অর্থ বাবদ বর্তমানে সরকারকে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী বছরে ১৩ হাজার ৩০২ কোটি ৬০ লাখ ১২ হাজার টাকা প্রদান করেন। তাতেই বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করা সম্ভব।
মানববন্ধনে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা ৩০ জুন পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, এর মধ্যে আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করা না হলে ৫ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেই সমাবেশ থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।