শিক্ষক নির্যাতনের অভিযুক্ত গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা ও সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র রায়কে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের নেতারা। কিছুদিন আগে প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে মারধর ও পরে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। পরিষদের নেতারা বলছেন, গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষক নির্যাতনের অভিযোগে পুনঃতদন্ত হবে। পুনঃতদন্তকে প্রভাবমুক্ত রাখতে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নেতারা।
বুধবার দৈনিক শিক্ষাডটকমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান পরিষদের সভাপতি মো সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি এম এ ছিদ্দিক মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায়।
বিবৃতিতে নেতারা জানান, প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার লাথি, ঘুষি মেরে আহত করে দীর্ঘসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেন। বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরার বরাদ্দের টাকার ঘুষকে কেন্দ্র করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র রায় এ ঘটনা ঘটান। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে জাতীয় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সব সংবাদকে উপেক্ষা করে শিক্ষা অফিসাররা ভয়ভীতি ও প্রভাব বিস্তার করে প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে শাস্তি দেন। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান আতিকের আবেদনে প্রতিমন্ত্রী ও প্রাথমিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিষয়টি পুনঃতদন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
নেতারা আরও বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর একটি বিভাগীয় মামলায় অসদারচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গোপালগঞ্জের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহাকে শাস্তি দেওয়া হয়। তার বেতন দুই বছরের জন্য গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিত করা হয়েছে। গোপালগঞ্জসহ তার আগের কর্মস্থলে শিক্ষকদের মুখে মুখে তার দুর্নীতির গুঞ্জন।
তাই, মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে নির্যাতনের ঘটনার পুনঃতদন্ত নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত করার স্বার্থে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোপালগঞ্জের আনন্দ কিশোর সাহা ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র রায়কে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন পরিষদের নেতারা।