বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়ে যোগদান না করা পদে দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী সুপারিশ করা হবে। যোগদান না করা প্রার্থীদের পদগুলোতে মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকে আবেদন করা পরবর্তী সুপারিশ পাবেন। তৃতীয় নিয়োগচক্রে যোগদান না করা পদগুলোতে প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষামন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। এতে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খানসহ প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যে পদগুলোতে প্রার্থীরা সুপারিশে পেয়েও যোগদান করেননি সে পদগুলোতে মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকা পরবর্তী প্রার্থীকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সভায়। যেসব পদে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী যোগদান করেননি সে পদগুলোতে যেসব প্রার্থী আবেদন করেছেন তাদের মধ্য থেকে মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা সুপারিশ পাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়েও মন্ত্রণালয় পজেটিভ অবস্থানে আছে। তবে, এ সভার রেজুলেশন বা লিখিত আদেশ না পেলে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এনটিআরসিএ থেকে আবেদন করা প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপে সুপারিশ করার নির্দেশনা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। রোববারের সভার সিদ্ধান্তের রেজুলেশন বা এ বিষয়ে আদেশ জারির পর দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশের বিষয়ে কাজ শুরু করা যাবে।
এদিকে তৃতীয় ধাপে সুপারিশ পেয়ে কতজন শিক্ষক যোগদান করেছেন সে বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট কোনো তথ্য এনটিআরসিএর কাছে নেই। কর্মকর্তারা বলছেন, যোগদান করেও অনলাইনে অনেকে যোগদান করেননি দেখিয়েছেন। আবার অনেকে যোগদান না করেও দেখিয়েছেন যোগদান করেছেন। বিষয়টি কর্মকর্তারা টেলিফোন করে যাচাই বাছাই করছেন।
প্রচলিত নিয়মে কোনো শিক্ষক পদে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থী যোগদান না করলে সেই পদে আবেদন করা মেধাতালিকার ভিত্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়। এর আগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রে সুপারিশ পেয়েও যোগদান না করা পদে অন্য প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপে সুপারিশ করা হয়েছিল। সে বছর ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর সেই নিয়োগচক্রে যোগদান না করা এমপিও ও ননএমপিও পদগুলোতে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়েছিল।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে নতুন সুপারিশ পাওয়া সব শিক্ষক যোগদান করেননি। আবেদন করে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীরা দ্বিতীয় ধাপে তাদের শিক্ষক পদে সুপারিশ করার দাবি জানাচ্ছেন।
সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থী এইচএম রুহুল আমিন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, প্রচলিতভাবে প্রতিবছরই দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করা হয়। আমরাও আশায় ছিলাম দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশের আশায়। নতুন শিক্ষকরা যোগদান করেছেন, তাদের এমপিওভুক্তিও হয়ে গেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ হচ্ছে না। যা আমাদের ভাবাচ্ছে। আমরা চাই, দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ হোক। ওই শিক্ষক পদগুলো খালি না রেখে প্রার্থীদের সুপারিশ করা উচিত।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।