বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়ে যোগদান না করা পদে দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী সুপারিশ করতে চেযেছিলো বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী সুপারিশের অনুমতি এখনো পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিধি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী সুপারিশের অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হলেও তার উত্তর এখনো আসেনি।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রচলিত নিয়মে কোনো শিক্ষক পদে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থী যোগদান না করলে সেই পদে আবেদন করা মেধাতালিকার ভিত্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়। এর আগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রে সুপারিশ পেয়েও যোগদান না করা পদে অন্য প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপে সুপারিশ করা হয়েছিল। সে বছর ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর সেই নিয়োগচক্রে যোগদান না করা এমপিও ও ননএমপিও পদগুলোতে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়েছিল। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে নতুন সুপারিশ পাওয়া সব শিক্ষকও যোগদান করেননি। তবে, কতজন শিক্ষক এখনও যোগদান করেননি তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি এনটিআরসিএ। এদিকে আবেদন করে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীরা দ্বিতীয় ধাপে তাদের শিক্ষক পদে সুপারিশ করার দাবি জানাচ্ছেন।
দ্বিতীয় মেধাতালিকা নিয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, প্রচলিত বিধি অনুসারে দ্বিতীয়ধাপের প্রার্থী সুপারিশের জন্য আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে তার জবাব এখনও আসেনি। মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় ধাপে যোগদান না করা শিক্ষক পদে প্রার্থী সুপারিশের অনুমতি দিলে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
কতজন নতুন শিক্ষক চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়ে যোগাদন করেছেন জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, সে বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।
তবে, এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছেন, টেলিটকের দেয়া তথ্য অনুসারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রার্থী সুপারিশ পেয়েও যোগদান করেনি। যদিও সে তথ্য যাচাই করে দেখার আগে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে না।
এদিকে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেও সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীরা দ্বিতীয় ধাপে যোগদান না করা পদে দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থী এইচএম রুহুল আমিন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, প্রচলিতভাবে প্রতিবছরই দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করা হয়। আমরাও আশায় ছিলাম দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশের আশায়। নতুন শিক্ষকরা যোগদান করেছেন, তাদের এমপিওভুক্তিও হয়ে গেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ হচ্ছে না। যা আমাদের ভাবাচ্ছে। আমরা চাই, দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ হোক। ওই শিক্ষক পদগুলো খালি না রেখে প্রার্থীদের সুপারিশ করা উচিত।