ভোলায় শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শকের সম্মানির টাকা নিয়ে নয়ছয় করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। একেক কেন্দ্রে একেক রকম হারে সম্মানি দেওয়ায় চরম ক্ষোভ দেখা দেয় কক্ষ পরিদর্শকদের মাঝে। ওই টাকা বরাদ্দ ও বণ্টনের দায়িত্বে ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা।
কক্ষ পরিদর্শকদের অভিযোগ, সব শিক্ষক সমান দায়িত্ব পালন করেছেন। কাজেই সম্মানিও সমান হওয়ার কথা। কিন্তু সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে সম্মানি ১০০০ টাকার স্বাক্ষর রেখে ৯০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। চরনোয়াবাদ মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও এ রব স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্মানি দেওয়া হয় ৫০০ টাকা। আলতাজের রহমান ডিগ্রি কলেজে ৭৭০ টাকার স্বাক্ষর নিয়ে দেওয়া হয় ৭০০ টাকা, পরাণগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে দেওয়া হয় ৬০০ টাকা।
প্রধান শিক্ষক মোর্শেদা বেগম জানান, সব শিক্ষক সমান দায়িত্ব পালন করেছেন। কাজেই সম্মানিও সমান হওয়ার কথা। একই কথা জানান শিক্ষক বন্ধনা গাঙ্গুলী ও প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হাওলাদার জানান, যে কেন্দ্রে শিক্ষার্থী বেশি সেই কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শকরা বেশি সম্মানি পেয়েছেন। ২৫টি কেন্দ্রের জন্য ৫০০ শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অপরদিকে, বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক বিল্লাল হোসেন জানান, ২৫ পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরির্দশক হিসাবে টাকা দেওয়া হলেও কোনো কোনো কক্ষে হিসাব ঠিক রাখা যায়নি। তাই বেশি কক্ষ পরিদর্শকের প্রয়োজন হয়। এজন্য নির্ধারিত টাকার হার কমে যায়।
জেলা প্রশাসক তৌফিক ই লাহী চৌধুরী জানান, আর্থিক বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে ছিল।