এনটিআরসিএর সুপারিশ পেয়ে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে যোগদান করতে গিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা তাদের কাছে লাখ লাখ টাকা দাবি করে তাদের যোগদান করতে দিচ্ছেন না। কিন্তু এনটিআরসিএর সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের যোগদানে বাধা দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান আছে। এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দের জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএতে শিক্ষক-প্রদর্শকের চাহিদা দিলে ওই পদে এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশ করা শিক্ষক ও প্রদর্শককে নিয়োগ দিতে হবে। চাহিদা দেয়ার সময় পদটি এমপিও বা নন-এমপিও তা সুস্পষ্ট করে লিখতে হবে। প্যাটার্ন অতিরিক্ত চাহিদা দিলে শিক্ষক বা প্রদর্শকের শতভাগ বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাহ করতে হবে। এ শর্তের ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন-ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হবে এবং কমিটির সভাপতির পদ শূন্য ঘোষণাসহ তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবাইদুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমরা সুপারিশপত্রে উল্লেখ করে দিয়েছি যোগদানে বাধা দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, বাস্তবতা হচ্ছে প্রার্থীদের কাছে বিভিন্ন নামে টাকা চাচ্ছেন। এর আগেও যোগদানে বাধা দেয়া প্রতিষ্ঠান প্রধানদের তথ্য আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠালে মন্ত্রণালয় জড়িতদের এমপিও বন্ধ করেছে ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রার্থীরা যদি সুস্পষ্টভাবে তথ্য দিয়ে এনটিআরসিএকে অভিযোগ জানান তাহলে আমরা সব যাচাই বাছাই করে মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলবো।
***শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।