বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেয়েছিলেন ৩৮ হাজারের বেশি নিবন্ধিত প্রার্থী। পুলিশ ভেরিফিকেশনের রিপোর্টের অপেক্ষায় তাদের সুপারিশ পত্র দিয়ে যোগদান নেয়া হচ্ছিল না। তাই প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়ার ছয় মাস পরেও তারা যোগদান করতে পারছিলেন না। তাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। এসব প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন ও সুপারিশ পাশাপাশি চালানোর অনুমতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে প্রেক্ষিতে আগামী সপ্তাহে প্রার্থীদের সুপারিশ পত্র প্রকাশের পরিকল্পনা করেছে এনটিআরসিএ। তবে, এ ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনে কোনো প্রার্থী সম্পর্কে আপত্তিকর তথ্য পাওয়া গেলে তাদের সুপারিশ বাতিল হবে। বুধবার সন্ধ্যায় এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবাইদুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রার্থীদের সুপারিশপত্র প্রকাশে আমরা টেলিটকের সাথে আলোচনা করছি। প্রার্থীদের সুপারিশ পত্র প্রকাশ করার জন্য কাজ চলছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহে প্রার্থীদের সুপারিশ পত্র প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে।
জানা গেছে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে ৩০ মার্চ শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর আবেদন গ্রহণ করে ১৫ জুলাই প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ফল ঘোষণা করা হয়। ফল ঘোষণার প্রায় ছয় মাসেও যোগদান সম্পন্ন হয়নি। বর্তমানে তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান। এসব প্রার্থীরা বারবার তাদের দ্রুত যোগদান করানোর দাবি জানাচ্ছিলেন। এদিকে শিক্ষক সংকটে জর্জরিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান ব্যহত হচ্ছিল। প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের সাথে সাথে তাদের পূর্ণ সুপারিশ করে যোগদান করানোর অনুমতি চাওয়া হয়েছিল এনটিআরসিএর কাছে। সে বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
সোমবার রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক শাখার অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে মন্ত্রণালয় এনটিআরসিএ নিয়োগ সুপারিশের বিষয়ে কতগুলো শর্ত দিয়েছে। এরমধ্যে আছে, পুলিশ ভেরিফিকেশনে আপত্তি বা কোনো বিরুপ মন্তব্য পাওয়া গেলে প্রার্থীর সুপারিশ বাতিল হবে এবং এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটলে এনটিআরসিএ তা মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রার্থীকে জানাবে।
এদিকে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দ্রুত তাদের সুপারিশ পত্র জারি করে তাদের যোগদানের ব্যবস্থা করার জন্য এনটিআরসিএর প্রতি দাবি জানিয়েছেন। একইসাথে তারা তাদের যোগদান প্রভাবমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী শান্ত আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা দ্রুত যোগদান করতে চাই। তারা যত তাড়াতাড়ি সুপারিশপত্র প্রকাশ করবেন ততই মঙ্গল। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএর কাছে দাবি জানাবো, তারা যেন প্রভাবমুক্তভাবে প্রার্থীদের যোগদানের ব্যবস্থা করেন। প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যেন কোনো টাকা আদায় না করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আর যোগদান প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সাথে দ্রুত শেষ করা দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।