শিক্ষক নিয়োগের ভুল চাহিদা : এমপিও কর্তন আরও ১৩ প্রতিষ্ঠান প্রধানের - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষক নিয়োগের ভুল চাহিদা : এমপিও কর্তন আরও ১৩ প্রতিষ্ঠান প্রধানের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) দ্বিতীয় চক্রের শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের ভুল তথ্য দিয়েছিল কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান। ফলে, শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েও কয়েক হাজার প্রার্থী যোগদান ও এমপিওভুক্ত হতে জটিলতায় পড়েছিলেন। মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ, প্যাটার্ন জটিলতাসহ নানা সমস্যায় তারা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। এসব জটিলতার মূলে ছিলেন শূন্যপদের ভুল তথ্য পাঠানো প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষক নিয়োগেরর ভুল তথ্য পাঠানো এমন আরও ১৩ জন প্রতিষ্ঠান প্রধানের তিনমাসের এমপিও কেটে রাখার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে দায়ীদের এমপিও কেটে রাখার নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।  

তিন মাসের বেতন হারানো শিক্ষকরা হলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আহাম্মাদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম এ হামিদ, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বাগান বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চৌধুরী মো. ইমাম উদ্দিন নুরী, বগুড়া সদর উপজেলার আলোর মেলা কেজি এন্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশীল কুমার পাল, খাগড়াছড়ি দিঘিনালা উপজেলার অনাথ আশ্রাম আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল হক, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার আন্ধারমানিক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিটনু মিত্র, পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার অংগারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র লস্কর।

বেতন বন্ধ হওয়া শিক্ষকদের তালিকায় আরও আছেন, পিরোজপুর সদর উপজেলার এপেক্স নৈশ ক্লাব নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর নজরুল ইসলাম, বগুড়ার কাহালু উপজেলার আজিজুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাফফর হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা মহেশপুর উপজেলারর বি আর এ কে এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামিরুল, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বদরগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বিমালেন্দু সরকার, বরিশালের হিজলা উপজেলার বদরটুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম খলিল, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার বাঘাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মিজানউল মওলা এবং সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বাহুকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন সাহা।  

মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুন জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে কিছু নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। বিধান ছিল, এসব পদে নিয়োগে মন্ত্রণালয় আলাদা আদেশ জারি করবে। এ পদগুলো নবসৃষ্ট পদ নামে বহুল পরিচিত। এই দুই প্রতিষ্ঠান প্রধান আদেশ জারির আগেই ২য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা হিসেবে সে পদগুলোকে শূন্য দেখিয়ে ছিলেন। ফলে, সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। এনটিআরসিএর মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েও প্রার্থীদের এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ চাহিদার জন্য। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই, এ ১৩ জন প্রতিষ্ঠান প্রধানের তিন মাসের এমপিও কর্তন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। 

আরও পড়ুন : শূন্য পদের ভুল তথ্যের ঝামেলা পোহাচ্ছে এনটিআরসিএ

ই-রিকুইজিশনে ভুল তথ্য দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধান-কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

শূন্যপদের ভুল তথ্য সংশোধনে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের তৎপর হওয়ার পরামর্শ

শূন্যপদের ভুল তথ্য দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা আছে এমপিও নীতিমালাতেও। কোন প্রতিষ্ঠান শূন্যপদের ভুল তথ্য দিলে সে পদে সুপারিশ করা প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত শূন্যপদের চাহিদা দিলে শিক্ষকের শতভাগ বেতন প্রতিষ্ঠান থেকে দিতে হবে। তা না হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও বন্ধ করা হবে। আর কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমপিও নীতিমালায়ও এমনটি বলা হয়েছে।

শূন্যপদের ভুল তথ্যের জন্য এমপিওভুক্ত না পারা কয়েক হাজার প্রার্থীর জটিলতা সমাধান হয়েছে। তবে, এখনো ১ হাজারের বেশি প্রার্থী এমপিওভুক্ত হতে পারেনি। তাই শুধু দুই প্রতিষ্ঠান প্রধান নয়। শূন্যপদের ভুল তথ্য দেয়া সব প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রার্থীরা। 

নবসৃষ্ট পদের জটিলতায় ভুক্তভোগীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ভুল তথ্যের কারণে ১৫ মাসের বেশি সময় আমরা এমপিওভুক্ত হতে পারিনি। কয়েক হাজার প্রার্থী এ জটিলতায় পড়েছে। অথচ এ জটিলতার জন্য আমরা দায়ী নই। ১৫ মাসের বেতনও পাইনি কিন্তু কাজ করতে হয়েছে। তাই, শুধু কয়েকজন নয়, যেসব প্রতিষ্ঠান প্রধান ভুল চাহিদা দিয়েছেন তাদের সবার শাস্তি দাবি করছি। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041191577911377