পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ১নম্বর ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের দারুল মুহাম্মদ আদর্শ বালিকা দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার এক ব্যক্তিকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ১৫ দিন ধরে জেলা হাজতে আছেন। অথচ ওই মাদরাসা সুপার মো. হারুন অর রশিদ জানেন না তিনি কোথায় আছেন।
গত সোমবার সরেজমিনে মাদরাসায় গেলে সুপার জানান, সহকারী মৌলভী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার ছুটিতে ঢাকায় আছেন। জাহাঙ্গীর হোসেন মাদরাসা সুপারকে টেলিফোন করে দশ দিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় গেছেন। ছুটির কোন দরখাস্ত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সুপার জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে ছুটি নিতে কোন দরাখাস্ত লাগেনা।
জানা গেছে স্থানীয় মেহদি হাসান মাসুদ নামে এক ব্যক্তি ‘জমি দখলের জন্য হত্যা চেষ্টার’ অভিযোগে ওই শিক্ষকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ দারুল মুহাম্মদ আদর্শ বালিকা দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি পিরোজপুর জেল হাজতে রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর মাদরাসা শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার তার ভাই আব্দুল আজিজ হাওলাদার, সহযোগী ইব্রাহিম হাওলাদার ও মিজান হাওলাদার ১২-১৪ জন ভাড়াটিয়া নিয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার মেদিরাবাদ এলাকার খন্দকার মেহেদি হাসান মাসুদের জমি জবর দখল করে নেয়। এসময় মেহেদি হাসান মাসুদ ও তার ছেলে তামিম এতে বাধা দিলে শিক্ষক জাহাঙ্গীর হাওলাদার মেহেদি হাসান মাসুদকে ছুরিকাঘাত করে এবং জাহাঙ্গীর এর সহযোগী ইব্রাহিম, মাসুদের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী তামিমকে ছুরিকাঘাত করে। তামিমের ডাক চিৎকারে তার মা রেহেনা মাসুদ ছুটে এলে জাহাঙ্গীর হাওলাদারের অপর সহযোগী মো মিজান, রেহেনা মাসুদকে পিটিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় মেহেদি হাসান মাসুদ বাদি হয়ে ৪ জনকে চিহ্নিত ও ১২-১৪ জন অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।