পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক মাদরাসা শিক্ষককে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন ওই মাদরাসা সভাপতির দুই ভাতিজা ও ভাইয়ের মেয়ের জামাই। গতকাল সোমবার বিকেলে মাদরাসার মসজিদের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষক শামসুল হককে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আহত শিক্ষক শামসুল হক উপজেলার পূর্ব মধুখালী সালেহিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক। তাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের ভাইয়ের ছেলে সোলায়মান হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার ও জামাতা শাকুরের বিরুদ্ধে।
শিক্ষক শামসুল হককে লাঞ্ছিত ও মারধরে জড়িত সোলায়মান হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার ও জামাতা শাকুরের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ক্লাস বর্জন করেছেন পূর্ব মধুখালী সালেহিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা মাদরাসার সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চিকিৎসাধীন শিক্ষক শামসুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গতকাল সোমবার সকালে সভাপতির ভাইয়ের ছেলে সোলায়মান হাওলাদার মাদরাসায় প্রবেশ করে সভাপতির চেয়ার বসে। বিষয়টি দৃষ্টিকটু হওয়ায় তিনি সভাপতির চেয়ার থেকে তাকে উঠতে বলেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে শিক্ষককে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় সোলায়মান।
তিনি জানান, দুপুরে মাদরাসা ছুটির পর মসজিদে নামাজ পড়া শেষে বাইরে দাড়ালে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করে সোলায়মান ও তার সহযোগীরা। এসময় এলাকার লোকজন আহত শিক্ষককে উদ্ধার করেন। বিকেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাদরাসার সুপার মাওলানা হাবিবুল্লাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনায় তারা ক্ষুদ্ধ। এ কারণে মঙ্গলবার মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে। বিষয়টি তারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও অবহিত করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষককে মারধরের বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে। এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কলাপাড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি এখনো পুলিশকে জানানো হয়নি।