কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গ্রাম থেকে বালু উত্তোলন করে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টের বিষয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় তাকে এ হুমকি দেয়া হয়।
মোবাইল ফোনে পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মস্তোফার এমন হুমকি ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালের কল রেকর্ডিং এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই শিক্ষক এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এলাকাবাসী বলেন, এমন ঘটনায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে শিক্ষককে হুমকি দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মস্তোফা। হুমকির লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ইউএনও।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা
জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের পাইকসা গ্রামের বেশ কয়েকটি স্থানে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বালু উত্তোলন করে আসছেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে মর্মে পাইকসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদ কামাল ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ইউএনও লোক পাঠিয়ে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দেন।
এ ঘটনার পর থেকেই অভিযোগকারী শিক্ষককে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল মঙ্গলবার দুপুরে পরিদর্শনকালেও ট্রাকে করে উত্তোলিত বালু বিক্রির ঘটনা দেখা যায়। কয়েকজন সচেতন এলাকাবাসী জানান, এখন রাতের অন্ধকারে বালু উত্তোলন ও বিক্রি হয় বেশি।
এর আগেও এ অবৈধ বালু বাণিজ্যের প্রতিবাদ করায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়েছিল ওই বালু বাণিজ্য সিন্ডিকেটের লোকজন।
কটিয়াদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মস্তোফা দাবি করেন, ওই গ্রামের বালু বাণিজ্য সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। তবে, এ ঘটনায় তাকেও জড়িয়ে কথা বলা হলে তিনি উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে হুমকি দেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। এটি তার ভাষা হতে পারে না। এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, যদি কেউ ওই শিক্ষককে হুমকি-ধমকি দেয়- সে বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন