প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রায় চার লাখ পঞ্চাশ হাজার। অন্যান্য দাপ্তরিক কাজের মতো কাজ শিক্ষকদের নয়, জাতি গঠনের মতো পবিত্র দায়িত্ব তাঁদের ওপর অর্পিত। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি হয় এই প্রাথমিক শিক্ষকদের মাধ্যমেই। অর্থনীতির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অবাক করার মতো। অথচ সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লাখ লাখ শিক্ষক পিছিয়ে পড়া পেশাজীবী। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, প্রধান শিক্ষকের পদ গেজেটেড কী ননগেজেটেড। প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির।
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন। অনেক রাষ্ট্রে প্রাথমিক শিক্ষকদের শুরুতেই আকর্ষণীয় বেতন দেওয়া হয়। পদমর্যাদা প্রথম শ্রেণির। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান তৃতীয় শ্রেণির! বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে প্রাথমিক শিক্ষকরা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে থাকবেন এটা আশা করা যায় না। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে প্রাথমিক শিক্ষকদের অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জিত হবে এই কামনা করছি।
লেখক : মো. জামিল বাসার, সহকারী শিক্ষক, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল