‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড’ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট’ পরিচালনা বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব পদে নিযুক্ত হয়েছেন অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী ও কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব পদে নিযুক্ত হয়েছেন কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু। প্রতিষ্ঠান দুটির সর্বশেষ বোর্ডেও তারা একই পদে নিযুক্ত ছিলেন। শাহজাহান সাজু এর আগে চারবার একই পদে ছিলেন। এই নিয়ে তার ৫ম বার। আর শরীফ সাদীর তৃতীয় বার।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই আদেশ জারি করা হয়।গত ৯ এপ্রিল এ দুই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। ফলে অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকার অপেক্ষায় থাকা ৩২ হাজারের বেশি প্রবীণ শিক্ষক-কর্মচারী পড়েছিলেন চরম বিপাকে। কল্যাণ ট্রাস্টের ফান্ডে প্রায় ২০০ কোটি টাকা জমা থাকলেও লোকবলের অভাবে আবেদনকারীদের টাকা দেয়া যাচ্ছিল না। অন্যদিকে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবসর ভাতার জন্য হাজার কোটি টাকা অনুদানের সম্মতি দিলেও কমিটি না থাকায় এসব শিক্ষকের পাওনা অর্থ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এখন সকল অনিশ্চয়তা কেটে গেল।
সূত্র জানায়, এ দুই প্রতিষ্ঠানের অর্থাভাব ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসর ও কল্যাণ ভাতা ঠিকমতো পান না। অবসরের পর কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের টাকা পেতে সময় লেগে যায় তিন থেকে চার বছর। এ সময়ে অনেকের মৃত্যু হয়, কেউবা চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করতে না পেরে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে জীবন পার করেন।
প্রসঙ্গত, অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সুবিধা দিতে ২০০২ খ্রিস্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড গঠন করা হয়। আর ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে কল্যাণ ট্রাস্ট। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর; মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ সুবিধা দেয়ার কাজ এ দুই প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত।
২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১০ এপ্রিল তিন বছরের জন্য বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের পরিচালনা কমিটি পুনর্গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব করা হয় শিক্ষকনেতা মো. শাহজাহান আলম সাজুকে। অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য সচিব করা হয় শিক্ষকনেতা অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদীকে।
জানা গেছে, পদাধিকারবলে এ দুই কমিটির প্রধান থাকেন শিক্ষাসচিব ও দ্বিতীয় প্রধান থাকেন বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্য থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। কমিটির অন্য সদস্যরাও বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক ও কর্মচারী।