দীর্ঘ তিন বছর অপেক্ষার পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির আদেশ জারি শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলায় শিক্ষকদের বদলির আদেশ অনুমোদন করা শুরু করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। সে প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শিক্ষকদের বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষকদের মুঠোফোনেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলার শিক্ষকদের বদলির আবেদন অনুমোদন শুরু হয়েছে। শিগগিরই সব উপজেলার শিক্ষকদের বদলির আদেশ জারি হবে বলে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বুধবার রাতে শিক্ষকদের বদলির আদেশ জারির বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুণ্ডু। তিনি বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয় শিক্ষকদের বদলির আবেদন অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে সে বিষয়ে ম্যাসেজ শিক্ষকদের মুঠোফোনে ম্যাসেজ চলে গিয়েছে। বুধবার শিক্ষকদের বদলির আদেশও জারি করে অনলাইনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের বদলির আবেদনগুলো আমরা অধিদপ্তরগুলোতে পাঠিয়েছিলাম। অধিদপ্তর তা আবার ডিপিও স্যারদের পাঠিয়ে অনুমোদন করতে বলেছেন। তারা অনুমোদন করে দিলেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা আদেশ জারি করছেন। অনলাইনে বদলি প্রক্রিয়া করায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে আদেশ জারি হচ্ছে। সেখানের ডাটাবেজে আমাদের স্বাক্ষর ডিজিটাল ফরমেটে সংরক্ষিত আছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে শিক্ষকদের বদলির আবেদন অনুমোদনের সুযোগ পাবেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলছেন, আবেদনে অনুমোদন পেলে শিগগিরই শিক্ষকদের বদলির আদেশ জারি হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর অদূরে একটি উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের উপজেলার শিক্ষকদের করা বদলির আবেদন অনুমোদন শুরু করেছে ঢাকার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। আমাদের উপজেলার বেশ কয়েকজন শিক্ষকের আবেদন অনুমোদন হয়েছে। সব বদলির আবেদন অনুমোদন হলে আমরা আদেশ জারি করে দেবো। হয়তো আগামীকাল বৃহস্পতিবারই বদলির আদেশ জারি হবে।
এদিকে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন আরা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্যার বদলির আবেদন অনুমোদন করলে আমরাও আদেশ জারি করে দেবো। জানতে চাইলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন আক্তারও একই কথা বলছেন।
চট্টগ্রামের সাতকানীয়া উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মাহবুব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন, আমাদের উপজেলার আবেদনগুলো বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে অনুমোদন হয়নি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় আছে, হয়তো জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয় দ্রুত আবেদনে অনুমোদন দেবেন। আমার উপজেলায় ৩০ জন শিক্ষক আবেদন করেছেন। আবেদন অনুমোদন হলে দ্রুতই তাদের বদলির আদেশ জারি করা হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (লিংক যাবে) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।
