আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির অনলাইন আবেদন গ্রহণ শুরু হলেও শিক্ষকরা নানা জটিলতায় পড়ছেন। শিক্ষকর বলছেন, তারা বদলির সার্ভারে প্রবেশ করতে পারছেন না। এছাড়া প্রতিস্থাপিত বদলি না থাকা, নির্দেশিকায় দুই বছর পর শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দিলেও আবেদন করতে না পারাসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন। তবে, শিক্ষকদের বদলি নিয়ে সব জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মুহিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাডটকমের সঙ্গে আলাপকালে এ আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বদলির সার্ভারের কিছু জটিলতার কথা আমরা জানতে পেরেছি। সার্ভারে ঢোকা যাচ্ছে না। আমি নিজেই বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করে সার্ভারে ঢুকতে পারিনি। আড়াই বছর পর বদলি শুরু হওয়ায় অনেক শিক্ষক আবেদন করছেন, তাই সার্ভার লোড নিতে পারছেন না। এছাড়া শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫০ হাজার আবেদন করেছেন। এত শিক্ষক বদলির আবেদনের পরও কিছু জটিলতার কথা আমাদের জানাচ্ছেন। আমরা সেসব জটিলতার তথ্য সংগ্রহ করছি। শিক্ষকদের বদলির সার্ভারের সব জটিলতা নিয়ে আগামী রোববার আমরা কারিগরি টিমের সঙ্গে বসবো। শিক্ষকদের সব জটিলতা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহর থেকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (http://myschool.eis.dpe.gov.bd/login) লগইন করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষক বদলির আবেদন করেছেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারবেন।
দীর্ঘদিন পর বদলি শুরু হলেও তা নিয়ে শিক্ষকদের মনে অসন্তোষ ও অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শিক্ষক অভিযোগ করছেন তারা বদলি সার্ভারে প্রবেশ করতে পারছেন না। নীতিমালা চার জন বা তার কম শিক্ষক থাকা স্কুলগুলো শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দেয়া হয়নি। যে স্কুলেগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৪০ এর বেশি, সেসব স্কুলের শিক্ষকরাও বদলির সুযোগ পাবেন না। শিক্ষকরা বলছেন, বদলি শুরু হলেও নির্দেশিকার কিছু বিধানের মারপ্যাচে অনেক শিক্ষক বদলি হতে পারবেন না। শিক্ষকরা বলছেন, চারজন বা তার কম শিক্ষক থাকা স্কুলগুলোর শিক্ষকদের বদলি সুযোগ নীতিমালায় নেই। আবার যে স্কুলগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৪০ এর বেশি, সেসব স্কুল থেকে শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পাচ্ছেন না। আবার আইপিইএমআইএস সার্ভারে স্কুলের তথ্য হালনাগাদ না থাকলে শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারছেন না। শিক্ষকরা আরও জানান, আন্তঃউপজেলা বদলির আবেদন নেয়া হলেও আন্তঃজেলা বদলির আবেদন তারা করতে পারছেন না।
তারা আরও জানিয়েছেন, বদলির সার্ভার লোড নিতে পারছে না। অনেক শিক্ষক তাই সার্ভারে ঢুকতে পারছেন না। শিক্ষকরা আরও জানান, প্রতিস্থাপিত বদলির সুযোগ অনলাইন বদলিতে নেই। আবার বদলির নির্দেশিকায় চাকরির মেয়াদ ২ বছর পূর্ণ হলে বদলির সুযোগ রাখা হলেও ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে যোগদান করা শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারছেন না।
এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৪৫ হাজার নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। শিক্ষকরা বলছেন, এখন পুরাতন শিক্ষকদের বদলির আবেদন নেয়া হলেও তাদের বদলি করা হবে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে। কিন্তু এর আগেই নতুন শিক্ষকরা নিয়োগ পাবেন। এতে কাঙ্ক্ষিত পদে বদলির সুযোগ পাবেন না পুরাতন শিক্ষকরা।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।