২০২০-২১ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতারা। গতকাল ১১ জুন এ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা খাতে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আর, শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন, টাইমস্কেল দেয়াসহ অন্যান্য সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন নেতারা।
শুক্রবার (১২ জুন) দৈনিক শিক্ষা ডটকম এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান সমিতির নেতারা।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাসেম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ২৪ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাথমিকে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২৩ হাজার ৭০২ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিকে বরাদ্দ বেশি ১ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গতবছরের চেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এবং সকল প্রাথমিক শিক্ষকদের পক্ষ থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দেশের সবগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচিরেই দুইটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, যেহেতু বাজেটে খাতওয়ারী বরাদ্দ এখনো চূড়ান্ত হয়নি তাই প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনস্কেল আপগ্রেড করা অর্থাৎ প্রধান শিক্ষক ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষক ১১তম গ্রেড বাস্তবায়ন, শিক্ষকদের চাকরির ১০বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেয়া। ইতোপূর্বে ঘোষিত সহকারী শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ, প্রধান শিক্ষকদের ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ থেকে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া টাইমস্কেল দেয়া, প্রায় একলাখ নতুন শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এসব খাতে খাতওয়ারী বরাদ্দ দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
তারা বলেন, পুরো শিক্ষাব্যবস্থার মূলভিত্তি হল প্রাথমিক শিক্ষা। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একশিফটে রুপান্তরিত করার জন্য বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন( শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ) ও শিক্ষক নিয়োগ একান্ত প্রয়োজন। তাই প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তিকে আরও মজবুত করতে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে,সংশোধিত বাজেটে তা আরও বৃদ্ধি করার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।