শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার দাবি - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছে ১০টি শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি ফেডারেশন। একইসঙ্গে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ফেডারেশনের নেতারা। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন তারা। 

শনিবার বিকেলে রাজধানী তেজগাঁও মহিলা কলেজে আয়োজিত ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির এক সভায় এসব দাবি জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতি ফেডারেশনের অন্যতম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার। সভায় ১০টি সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হক সভায় বর্তমান প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। কোভিড-১৯ এর কারণে সদস্য সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানান। 

সভায় শিক্ষক নেতারা ১২ দফা দাবি জানান। শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো, শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণ করা, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেয়া, অনুপাত প্রথা বিলুপ্ত করে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ্য ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বর্তমান নীতিমালা বাতিল করে আগের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ করা, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের সমান করা। 

শিক্ষকদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো,  বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা দেয়ার পরিবর্তে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালু করা, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষকসহ বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করা, ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষাখাতে জিডিপির ৬ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো যুগোপযোগীকরণ ও সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চাকরি বিধিমালা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে বেসরকারি শিক্ষকদের ৩৫ শতাংশ প্রেষণে নিয়োগ দেয়া, কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে কারিগরি ও ভোকেশনাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা এবং করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক প্রণোদনা ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়া। 

সভায় ফেডারেশনের নেতারা আলোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের সঙ্গে দেখা করে দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন। একইসঙ্গে ঈদের আগেই পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। 

সভায় উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম, অধ্যক্ষ মো: ফয়েজ হোসেন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বিলকিস জামান, মো. মহসীন রেজা, মো. আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মোস্তফা চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, অনুপম বড়ুয়া, মো: শাহে আলম, হিরেন্দ্রনাথ মৃধা, মো: ফখরুদ্দীন জিগার, মো: আনসার আলীসহ অনেকে।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040299892425537