শিক্ষকদের সম্মান তাদের ন্যায্য অধিকার - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষকদের সম্মান তাদের ন্যায্য অধিকার

ড. মো. মাহমুদুল হাছান |

শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা। অনেক সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদদের ভাষায় এটিকে সকল পেশার ‘মা’ বলা হয়। যিনি এ পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাকে বলা হয় শিক্ষক। সে অর্থে শিক্ষকরা হয়ে থাকেন মহান। মহৎ পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত মহান শিক্ষক জাতি গঠনের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান নায়ক। সন্তানদের ভালো মানুষ হওয়ার পেছনে যাদের অবদান তাদের গুরুত্ব ও সম্মান সকলের উপরে ও সর্বাধিক। বিল গেটস স্বভাবতই বলেছেন, ‘প্রযুক্তি কেবল একটি সরঞ্জাম। সন্তানদের এক সঙ্গে কাজ করার এবং তাদের অনুপ্রেরণার দিক থেকে শিক্ষক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’’ 

শিক্ষকতার এ মহৎ পেশাটিতে যাদের কোমল পরশ  ও দৃঢ়চিত্ত মনোভাব, তাদের সম্মান ও কদর সর্বজনীন ও সর্বতোভাবে স্বীকৃত। তাদেরকে বলা হয় জাতি গড়ার সুক্ষ্ম কারিগর। তারা সূক্ষ্মভাবে আমাদের মুগ্ধ মনকে আকার দেন এবং এটিকে এমন একটি পাত্রে ঢালাই করেন যা আমাদের উপলব্ধি এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সংজ্ঞায়িত করে। তাদের সম্মানকে কাল থেকে কালান্তরে বিধিবদ্ধ ও সুউচ্চ শিখরে রাখতে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছরের ৫ অক্টোবর সমগ্র দেশে আড়ম্বরপূর্ণভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা করা হয়। এটি শিক্ষকদের সম্মান প্রদর্শনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম মাত্র। শিক্ষকদের সম্মান মূলত ধারণ করতে হৃদয়ে পালন করতে হয় প্রদর্শনে।

শিক্ষকদের সম্মান তাদের ন্যায্য অধিকার। শিক্ষকরাতো আমাদের শিক্ষা পিতামাতা ও শিক্ষাগুরু। জাতীয় উন্নয়ন ও মানব সম্পদ তৈরিতে তাদের অবদানের জন্য তারা সম্মানিত। তরুণদের বিকাশ ও লালন-পালনের জন্য তারা যে কাজ করে তার কারণে শিক্ষকরা সর্বদা সকল সমাজে সম্মানিত হয়েছেন। যখন একটি শিশু স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে তখন তারা পিতামাতা এবং পরামর্শদাতার ভূমিকা গ্রহণ করে। শ্রেণিকক্ষে এতগুলো শিশুর দেখাশোনা করা এবং একই সময়ে তাদের মনের মধ্যে কী চলছে তা বোঝার চেষ্টা করা সহজ কাজ নয়। শিশুরা বিভিন্ন পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং লালন-পালন থেকে আসে, শ্রেণিকক্ষে তাদের বোঝার চেষ্টা করা এবং তাদের প্রয়োজনে সাড়া দেয়ার মহান  দায়িত্ব শিক্ষকরাই করে থাকেন।

শিক্ষকরা তাদের দায়িত্বে আমাদের তরুণ সূক্ষ্ম মনকে ছাঁচে ঢেলে সুন্দর একটি আকৃতি নির্মাণ করেন। প্রতিটি শিশুর মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা ও দক্ষতা চিহ্নিত করতে এবং শিশুর সুবিধার জন্য তাদের কাজে লাগাতে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হয়। এ কাজটিও করেন এ মহান শিক্ষকরা।

শিক্ষাব্যবস্থা হলো প্রকৃতপক্ষে একটি দেশের ভবিষ্যৎ, সেটির প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজ করে থাকেন মূলত শিক্ষক সম্প্রদায়ই।  আমদেরকে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য তাদেরকে সম্মান জানাতে হবে। তাদের কল্যাণের জন্য তাদেরকে দেখাশোনা করা, বিশেষ করে যারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা করছেন তাদের প্রতি আমাদের নিদারুণ ভালোবাসা প্রকাশই যথেষ্ট নয়। তাদের সামাজিক মর্যাদা, অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধি,  রাষ্ট্রীয় মূল্যায়ন, মানবিক আচরণ, সার্বিক নিরাপত্তা ও বিচারিক সম্মান নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। 

বলাইবাহুল্য যে, বাংলাদেশের শিক্ষকদের অসম্মান ও নিগৃহীত করার বিষয়টি প্রায়শই আমাদের পত্র-পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়াতে দৃষ্টিগোচরিত হয়, যা খুবই দুঃখজনক এবং সম্মানহানিকর। তাদের বাসস্থান, নিরাপত্তা, জীবনযাপন প্রণালী এবং সামাজিক মর্যাদা রক্ষার ব্যাপারে প্রায়শই উপেক্ষা করা হয় এবং তারা প্রায়শই ঝুঁকিপূর্ণ এবং অস্থির পরিস্থিতিতে নিজেদেরকে পরিচালনা করে  থাকেন। বাংলাদেশে শিক্ষকদের অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে ন্যক্কারজনকভাবে বৈষম্য করা হয়। সামাজিকভাবে তাদেরকে যেভাবে লাঞ্চিত করা হয়, তাতে শিক্ষার্থীদের মাঝেও শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি উপেক্ষিত হয়। এটি বেশ হতাশাজনক ও রীতিমত অপমানকর। 

এ ছাড়া, শিক্ষকদের কর্মজীবনে নানাবিধ চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে সময় অতিবাহিত করতে হয়। সবথেকে বড় যে চ্যালেঞ্জটি থাকে সেটি হলো, অভিভাবকদের সঙ্গে আচরণ করা। কিছু কিছু অভিভাবক আছেন, যারা মাঝে মাঝে শিক্ষকদের সঙ্গে খুব আক্রমণাত্মক এবং বিরক্তিকর দুর্ব্যবহার করে থাকেন। আবার কিছু আছেন, যারা শিক্ষককে কীভাবে তার বা তার কাজ করা উচিত সে বিষয়ে আনকোরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে,  প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা শিক্ষা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাও শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং  কখনো কখনো তাদের সঙ্গে অসম্মান করে কথা বলেন। এভাবে সমাজের বভিন্ন স্তরে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝেও এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীরাও শিক্ষকদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করে থাকেন। শিক্ষক যে তাদের জীবনের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা, তা তারা ভুলে যান।

আমরা শিক্ষকতাকে যদি মহৎ পেশা হিসেবে মেনেই নেই, তাহলে তাদের প্রাপ্য সম্মান ও ন্যায্য অধিকার দিতে কার্পণ্য করছি কেনো? অথচ, পৃথিবীতে যতো মহামানবের আবির্ভাব হয়েছে বা যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতিমান মহান ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন তারা তাদের শিক্ষকের দীক্ষা নিয়েই হয়েছেন। সুতরাং আদিকাল থেকে শুরু করে অনাদিকাল পর্যন্ত শিক্ষকের সম্মান সর্বতোভাবেই বিরাজমান ছিলো ও থাকবে। এটিকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। তাই তাদেরকে সম্মান জানানোর কিছু অনুশীলন আমাদের থাকা আবশ্যক। নিম্নের দশটি কৌশল শিক্ষকদেরকে সম্মান প্রদর্শন ও প্রসংসা জ্ঞাপন করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর বলে মনে করছি। 

১. আমরা শিক্ষকদেরকে সাক্ষাতে কুশলাদি বিনিময় করতে পারি এবং তাদের অবর্তমানে তাদের জন্য দোয়া করতে পারি। তাদের দেয়া শিক্ষা ও উপদেশের আলোকে আমাদের জীবন গড়ে তাদের প্রাপ্য সম্মান প্রদর্শন করতে পারি। আমরা আমাদের শিক্ষকদের দেখাতে পারি যে আমরা তাদের শ্রদ্ধা ও আনুগত্য করে তাদের যথাযথ মূল্য দিই।

২. আমরা আমাদের শিক্ষকদের গুণকীর্তন করে তাদেরকে ই-মেইল বা কাগুজে বার্তা প্রেরণ করতে পারি। কখনো কখনো একটি কার্ড বা একটি নোট লিখে পত্র পাঠাতে পারি। এ সকল বার্তায় তাদেরকে বোঝাতে হবে যে তাদেরকে আমরা কতোটা মনে রাখি এবং তাদের প্রতি আমরা কতোটা কৃতজ্ঞ। তাদের ক্লাস থেকে কিছু পুরোনো স্মৃতি মনে করে তাদের ভালোলাগার বিষয়টিও উল্লেখ করতে পারি।

৩. শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগিয়ে তাদের স্মৃতিতে আমরা নিজেদেরকে ধরে রাখতে পারি। আমরা যখন তাদের বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করি, তখন শিক্ষকদের কাছে এর চেয়ে বড় সম্মান আর কিছুই নেই।  এটি প্রমান করে যে, শিক্ষক আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত কাজ করছেন। তাদের শেখানো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে কর্মজীবনে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েও তাদেরকে সম্মান প্রদর্শন করতে পারি।

৪. আমরা মাঝেমধ্যে তাদের জন্য একটি বই বা নিবন্ধ উৎসর্গ করতে পারি। আমরা সৃজনশীল চর্চায় নিজেদেরকে ন্যস্ত রেখে আমাদের কোনো লেখা প্রকাশ করলে, তা তাদের নামে উৎসর্গ করতে পারি। এটি তাদের প্রতি ধন্যবাদ প্রদানের একটি মহোত্তম উপায়।  

৫.  আমরা যে যেখান থেকে পারি আমাদের শিক্ষক সম্প্রদায়ের জন্য উন্নত বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে তাদের পক্ষে সরকারের নীতি প্রণয়ন কর্মকর্তাদের কাছে জোরালো সুপারিশ করতে পারি। এমনকি,  আমাদের সক্ষমতা থাকলে তাদের কল্যাণে কিছু না কিছু করতে পারি। তবে তাদের পদমর্যাদা অনুযায়ী উচ্চতর স্কেল প্রদান করতে পারলে তাদের যে উপকার হয়, তাতে সেটি হয় তাদের সর্বোত্তম সম্মান। অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধি শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার। আমাদেরকে এ সম্মান প্রদর্শন আমাদের শিক্ষকদের জন্য আজীবন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। 

৬.  মাঝে মাঝে আমাদের উচিত তাদের জন্য উপহার-উপঢৌকন পাঠানো। এতে শিক্ষকরা অনেক সম্মানবোধ করেন। বিশেষ করে, তাদের পাঠগুলোকে আমাদের জীবনে প্রয়োগ করতে পারলে সেটি হয় তাদের জন্য ভীষণ আনন্দের উপহার। তাই, আমাদের শিখতে এবং জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করার জন্য আমরা আমাদের শিক্ষকদের প্রশংসার চিহ্ন হিসেবে উপযুক্ত উপহার দিতে পারি। নতুন কলম, ডায়েরি, জামা-কাপড়, টাইসহ কিছু প্রয়োজনীয় প্রসাধনী ও কিছু সুস্বাদু চকলেট বা খাদ্যসামগ্রী আমরা আমাদের শিক্ষকদেরকে উপহার হিসেবে দিতে পারি। 

৭.  শিক্ষাজীবনে আমরা শিক্ষকদের সম্মান জানাতে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। মাঝে মাঝে শিক্ষক সপ্তাহ পালন করে শিক্ষকদের জন্য প্রশংসনীয় কমেন্টস, স্তুতি গান, খাবার পরিবেশন ও পিতামাতার পক্ষ থেকে পাঠানো কোনো শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে পারি। 

৮. আমরা আমাদের শিক্ষকদেরকে উপলক্ষ্য করে ছড়া, কবিতা, গান, প্রবন্ধ বা বই লিখে তাদেরকে সম্মান জানাতে পারি। আবার আমরা যদি কোন গবেষণা পত্র বা থিসিস লিখি তা তাদের বামে উৎসর্গ করতে পারি বা স্বীকৃতি বার্তায় তাদের নাম উল্লেখ করে প্রশংসা করতে পারি। এতে শিক্ষকরা ভীষণ আনন্দিত হন।  

৯. শিক্ষকরা আমাদের শিক্ষাজীবনে অনেক সময় তাদের নিজের অর্থ ব্যয় করে শিক্ষার উপকরণ সরবরাহ করে থাকেন। শ্রেণি পাঠদানের সময় তারা ক্লিনেক্স, ক্লিনিং ওয়াইপস, পেন্সিল বা কলম এবং ফোল্ডারগুলোর মতো অনেক আইটেম সরবরাহ করতে তারা নিজেদের অর্থ ব্যয় করেন।  আমরা আমাদের কর্মজীবনে উপার্জন করতে সক্ষম হলে সাধ্যানুযায়ী তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ দান করে তাদের খরচ সহজ করতে সাহায্য করতে পারি।  এতে তারা অনেক সম্মানিত অনুভব করেন।

১০. আমাদের শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান জানাতে আমরা শিক্ষকতা পেশাকে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে পারি। শিক্ষকতা পেশা একটি মহান পেশা, এটিকে একটি ব্রত হিসেবে বিবেচনা করে আমাদের শিক্ষকদের এ মহান সেবার ধারাটি অব্যাহত রাখলে তারা খুব খুশি হন। 

সর্বোপরি, আমরা আমাদের শিক্ষকদের কাছে আমৃত্যু ঋণী। আমাদের শিক্ষিত করে ভালো মানুষ তৈরি করতে তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। অন্যান্য পেশায় ধরাবাঁধা নির্দিষ্ট সময় থাকলেও শিক্ষকতা পেশায় শিক্ষকদেরকে শ্রেণি পাঠদানের সবকিছু প্রস্তুত করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে তাদেরকে ক্লাসের আগে অনেক ঘণ্টা কাজ করতে হয় এবং ক্লাসের পরেও খাতাপত্র ও ডায়েরি চেক করা এবং গ্রেড করার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। এ পেশায় তাদেরকে জীবনব্যাপী নিরলস পরিশ্রম করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। তাইতো হেলেন ক্যাল্ডিকট বলেছেন, ‘শিক্ষকরা সমাজের সবচেয়ে দায়িত্বশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। কারণ, তাদের পেশাদার প্রচেষ্টা পৃথিবীর ভাগ্যকে প্রভাবিত করে।’ অতএব, যে শিক্ষক সম্প্রদায় তাদের  জীবনের সর্বস্ব দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ ও আদর্শ জাতি গঠনের নিমিত্তে আজীবন কজ করে যান, তাদের সম্মান করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। 

লেখক: প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ স্মার্ট এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিসেন)

স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ - dainik shiksha ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত - dainik shiksha টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0063009262084961