পঞ্চগড়ে মাদরাসাশিক্ষকের এনে দেওয়া ফুচকা খেয়ে দুই কিশোরী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় নুর আলম (৩৩) নামের এক মাদরাসাশিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে পঞ্চগড় পৌরসভার রৌশনাবাগ এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আটক নুর আলম পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিলুপ্ত গাড়াতি ছিটমহলের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলীম মাদরাসার সহকারী মৌলভি। অসুস্থ দুই কিশোরী সম্পর্কে খালাতো বোন। তাদের একজনের বয়স ১৪ ও অপরজনের বয়স ১৫ বছর।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে রৌশনাবাগ এলাকার একটি বাড়িতে মাদরাসাশিক্ষক নুর আলম প্রায়ই যাতায়াত করতেন। সেই সুবাদে গতকাল রাতে ওই বাড়িতে ফুচকা নিয়ে যান তিনি। তাঁর নিয়ে যাওয়া ফুচকা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ওই দুই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করে। পরে পরিবারের লোকজন তাদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রাকিব উল হাসান বলেন, হাসপাতালে আনার সময় ওই দুই কিশোরী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিল। এ সময় তাদের ঠোঁট-মুখ ফুলে গিয়েছিল এবং তারা গুরুতর অসুস্থ ছিল। রোগীর লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, খাবারের সঙ্গে কোনো কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। তবে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ মিঞা আজ রোববার বিকেলে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর রাতেই তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এখন তাঁকে ১৫১ ধারায় চালান দিয়ে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। পরবর্তী সময়ে অসুস্থ কিশোরীদের পরিবার থেকে কোনো মামলা করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।