বাউফলের কালিশুরী ইউনিয়নের পশ্চিম সিংহেরাকাঠি দারুল উলুম হাফেজি মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে (১২) বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমান ওই শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিশুরী গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির ১২ বছরের ছেলে স্থানীয় একটি সরকারী প্রাইমারী স্কুল থেকে পিইসি পাস করে।
গত ৬ মাস আগে ওই শিক্ষার্থী পশ্চিম সিংহেরাকাঠি দারুল উলুম হাফেজি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমান ওই শিক্ষার্থীকে ঘুম থেকে তুলে তার শোয়ার রুমে নিয়ে যায়। এরপর তিনি শিক্ষার্থীকে তার মাথার চুল ও শরীর মেসেজ করতে বলেন। একপর্যায়ে তিনি ওই শিক্ষার্থীকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বলাৎকার করেন। ওই শিক্ষার্থী ভয়ে কান্নাকাটি করেন।
পরে সকাল হলে ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার মাকে জানান। শুক্রবার সকালে ওই শিক্ষার্থীর এক মামা বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালক হেলাল উদ্দিনকে জানান। অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায়। তবে দীর্ঘ বছর ধরে তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মিরপুর বসবাস করছেন। তিনি গত তিন বছর আগে এই হাফেজি মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শিশুটি ঘটনা বানিয়ে বলেছেন। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। ওর সঙ্গে এমন ঘটনা হইছে এ ধরনের কোন প্রমাণও নেই। এটা ওর মুখের কথা।’