কলেজের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানহানিকর মিথ্যা অভিযোগ এনে কর্মসূচি পালন করার অভিযোগে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসানকে তিন বছরের জন্য কলেজ থেকে বহিষ্কার করেছে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল। আজ শনিবার বিকেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানায়।
এ ছাড়া এ ঘটনায় আরো দুই শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য এবং সাত শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সতর্ক করা হয় আরো আট শিক্ষার্থীকে।
বহিষ্কৃতরা কলেজের ছাত্রাবাসে অবস্থান করতে পারবেন না বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে কলেজে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পঞ্চম বর্ষের আব্দুল্লাহ আল হাসান, তাকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তৃতীয় বর্ষের ফায়াদুর রহমান আকাশ ও তামান্না তাসমিন বহিষ্কার হয়েছেন দুই বছরের জন্য। সুনীতি কুমার দাস, সানবীম খান, মাহিদুল হক, তানবিন হাসান, কাশফী তাবরীজ, রাপ্পু কর্মকার ও সাখাওয়াত হোসেন সিফাত বহিষ্কার হন এক বছরের জন্য। এ ছাড়া সতর্ক করা আট শিক্ষার্থী হলেন মাহমুদুজ্জামান, মেহরাব হোসেন, নাজমুছ সাকিব, রিজবী আল নাহিয়ান হিয়া, জিম রহমান, সাকিব খান শাওন, জেরিন তাসনিম ও জিহাদুল হক তাঈব।
সূত্রগুলো জানায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলেজ ক্যাম্পাসে একদল শিক্ষার্থী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অভিযোগ ছিল, কলেজের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ ফাইনাল পরীক্ষায় পাস করানোর শর্তে একজন ছাত্রীকে খারাপ প্রস্তাব দেন। এ ঘটনায় ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ নিজে অভিযোগটির তদন্ত দাবি করেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, কাউকে পরীক্ষায় অবৈধ সুযোগ না দেওয়ায় তাকে এভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।
সূত্রগুলো জানায়, সকাল ১১টায় সভা শুরু হয়। বিকেল ৫টার দিকে সভা শেষ হয়। সভা শেষে কলেজ অধ্যক্ষ অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সভার সিদ্ধান্ত জানান। অধ্যক্ষ ডা. চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ বলেন, ডা. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মিথ্যা অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।