শিক্ষকের হাতের কবজি কাটার ঘটনায় ৭ আসামি গ্রেফতার - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষকের হাতের কবজি কাটার ঘটনায় ৭ আসামি গ্রেফতার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি |

কুষ্টিয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে কলেজশিক্ষকের ডান হাত বিচ্ছিন্ন ও তাঁকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় এজাহারভুক্ত সাত আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ান (র‍্যাব)। গতকাল শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের গ্রেফতার করে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া সিপিসি-১-এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়া গ্রামের মশারফ হোসেন (২৬), নাজিম উদ্দিন (২৭), সামাদ (২৭), মুহাইমেন হোসেন (২৭), হালিম (৪০), পলাশ (২৩) ও মুকুল (৪২)।

গত মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের বংশীতলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কলেজশিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের (৫২) ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাঁকে কুপিয়ে জখমও করা হয়। পরে ওই দিন রাতেই তোফাজ্জেল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহম্মেদ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে তোফাজ্জেলের ছেলে নাজমুছ সাকিব বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়েছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

র‍্যাবের কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘটনার পর থেকে র‍্যাব আসামিদের ধরতে অভিযান চালায়। শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মশারফ, সামাদ ও পলাশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তাঁরা হামলার ঘটনার সঙ্গে সরাসারি সম্পৃক্ত ছিলেন। গ্রেফতার বাকিরা হামলায় সহযোগিতা করেছেন।

তোফাজ্জেল হোসেন যে কলেজে শিক্ষকতা করেন আসামিদের মধ্যে পলাশ ও মশাররফ দুজনই ওই কলেজের ছাত্র। র‍্যাব পলাশের কাছ থেকে গুলিসহ একটি বিদেশি বন্দুক উদ্ধার করেছে। এর বাইরেও পলাশের বিরুদ্ধে মারামারি, নারী নির্যাতনসহ অন্তত পাঁচটি মামলা আছে। এদিকে নাজিম উদ্দিন একটি কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র। তাঁর বিরুদ্ধেও দুটি মামলা আছে। সামাদ পেশায় কৃষক। মুহাইমেন মাস্টার্সের ছাত্র এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে। হালিম একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী। আর মুকুল মাছ ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে।

আসামিদের বরাত দিয়ে মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, কলেজশিক্ষকের হাত কেটে নেওয়ার জন্য ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করেছিলেন মামলার প্রধান আসামি জাফর শেখ (৪২)। তিনিসহ আরও কয়েকজন আসামি পলাতক। তাঁদের ধরতে অভিযান চলছে।

সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, মূলত জাফর শেখ ও আসামি লিটন ও রফিকুলের সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য এবং জমি নিয়ে শিক্ষক তোফাজ্জেলের বিরোধ। সম্প্রতি বিরোধ তীব্র হলে তিন আসামি মিলে তোফাজ্জেলকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন। জাফর শেখ এতে নেতৃত্ব দেন। তিনিই মূলত বলেছিলেন, তোফাজ্জেলের হাত কেটে চিরজীবনের জন্য অঙ্গহানি করে দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে আসামিদের হাজির করে র‍্যাব। তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো আসামিই মন্তব্য করেননি। তাঁরা চুপ ছিলেন। তবে সাংবাদিকেরা তাঁদের নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা উত্তর দেন।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004824161529541