শিক্ষণ কৌশলে শিক্ষকদের স্মার্ট হতে হবে - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষণ কৌশলে শিক্ষকদের স্মার্ট হতে হবে

ড. মো. মাহমুদুল হাছান |

স্মার্ট শিক্ষণ, স্মার্ট শিখন, স্মার্ট শিক্ষালয় ও স্মার্ট কৌশল-এ চারটি উপাদানের যথার্থ নিশ্চায়ন, বাস্তবায়ন ও প্রতিফলন ঘটাতে পারলেই একটি সমাজ ও দেশের শিক্ষার উন্নয়ন সামগ্রিকভাবে কার্যকর হয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে স্মার্ট শিক্ষাকে উন্নত জাতি গঠনের বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করাই আমাদের এখন উপযুক্ত সময়। সরকারের  রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা মোতাবেক আমাদের দেশ একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে মর্মে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষক সমাজকেও এ লক্ষ্যে স্মার্ট শিক্ষণ কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

ইংরেজি SMART শব্দটি বিশ্লেষণ করলে যে অর্থসমষ্টি পাওয়া যায় তার সঠিক প্রয়োগ করতে পারলেই একজন শিক্ষক প্রকৃতপক্ষে স্মার্ট শিক্ষকে রুপান্তরিত হতে পারেন। স্মার্ট শব্দটি ইংরেজি ৫টি বর্ণের সমন্বয়ে গঠিত একটি শব্দ সংক্ষেপ। ইংরেজিতে এ শব্দটি লেখা হয় SMART রূপে। এ শব্দটি বিস্তৃত আকারে প্রকাশ করলে আমরা পাই; S= Spatial (স্থানিক), M= Math (গণিত), A= Analogy (উপমা), R= Reading (পড়া) এবং T= Technology (প্রযুক্তি)। মোদ্দাকথা, SMART (স্মার্ট) শব্দটি  বেশিরভাগ বিষয়বস্তু এবং দক্ষতাকে অন্তর্ভুক্ত করে যা শিক্ষার্থীদেরকে শিখনে এবং শিক্ষকদেরকে শিক্ষণে সফল হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে সমালোচনমূলক চিন্তন দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করে। 

সামষ্টিক অর্থে, স্মার্ট শিক্ষা (Smart Education) হলো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক শিক্ষা প্রদান করা, যাতে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের জন্য তাদের সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা যায় যেখানে অভিযোজনযোগ্যতা (Adaptability) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্ট শিক্ষা শিক্ষার্থীদের প্রথাগত শিক্ষার বাহিরে গ্লোবাল শিক্ষায় প্রবেশের উপায় অবলম্বন করতে শেখায়। এটা শুধু শিক্ষা প্রদানের পরিবর্তনই নয়, বরং প্রযুক্তির আমূল পরিবর্তনের সঙ্গে, আজকের শিক্ষকদের, এখন থেকে ২০ বছর পরের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তার প্রক্রিয়া জানতে সাহায্য করে। স্মার্ট শিক্ষা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়কেই আগামীর জন্য নিজেদেরকে কীভাবে প্রস্তুত করা যায়, সে সমস্যা সমাধান করতে পারে। স্মার্ট শিক্ষা একটি ভার্চ্যুয়াল বা প্রথাগত উভয় পরিবেশেই শিক্ষণ-শিখন কার্য সম্পন্ন করতে শেখায়। এটি ভার্চ্যুয়াল ও ফিজিক্যাল উভয়ের একটি মিশ্র সংস্করণও হতে পারে। ট্র্যাডিশনাল বা প্রথাগত শিখন ফল নিশ্চিত করতে স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার হিসেবেও স্মার্ট শিক্ষাকে সংক্ষিপ্ত করা যেতে পারে। 

অনলাইন ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুম, ভার্চ্যুয়াল লার্নিং এনভায়রনমেন্ট, ক্লাউড সার্ভার, কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন ইত্যাদির মতো উন্নত শেখার পদ্ধতি ব্যবহার করে একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদেরকে আরো বেশি কার্যকর শিক্ষা প্রদান  করতে পারে। এটি তাদের একটি ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যাতে জীবনযাপন এবং কাজ করার নতুন প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হতে পারে। এ শিক্ষায় শিক্ষকদেরও আধুনিক দক্ষতা যেমন বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয় এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের ঐতিহ্যগত শ্রেণিকক্ষে কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা শিখতে হয়। বিশ্বের অনেক দেশই এখন স্মার্ট সিটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও হাতে নেয়া হয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর এই সিটির প্রকল্প। এই স্মার্ট সিটির প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে, সেখানকার বাসিন্দাদের আবশ্যিকভাবেই স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর সেজন্য প্রথমেই গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের শিক্ষায়। শিক্ষা যদি স্মার্ট পদ্ধতিতে না দেয়া যায় তাহলে স্মার্ট জাতি গঠন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ে আসতে হবে স্মার্ট প্রযুক্তির আওতায়। প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল শিক্ষা ছাড়া স্মার্ট জাতি গঠন করা যায় না। কারণ, ডিজিটাল শিক্ষার বাইরে থাকা মানুষ কোনো না কোনো সময় স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বা সেটি ব্যবহারে তারা কখনো দক্ষ হয়ে উঠবে না।

তাই শিক্ষকদেরকে স্মার্ট টিচিং সিস্টেম সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। স্মার্ট টিচিং সিস্টেম হলো একটি শেখার প্ল্যাটফর্ম যা শক্তিশালী মডেল, কৌশল এবং আধুনিক সরঞ্জামগুলির সুবিধাসমূহকে একত্রিত করে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে সহায়তা করে। এটি শিক্ষাদানের কার্যকারিতা এবং দক্ষতা তৈরির জন্য একটি দুর্দান্ত কৌশল। স্মার্ট সেরা শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদেরকে কোথায় দেখতে চান, তা দেখিয়ে দেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা কী দেখবে, তা বলেন না। তারা হলেন একটি কম্পাস, যা কৌতূহল, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার চুম্বককে সক্রিয় করে।

স্মার্ট শিক্ষণ পদ্ধতি শিক্ষকদের বৃহত্তর কার্যকারিতা বিকাশে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে কার্যকরী শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। স্মার্ট শিক্ষক হতে শিক্ষকদেরকে কয়েকটি শিক্ষণ কৌশল অবলম্বন করতে হয়, যেমন- 

শিক্ষকদেরকে পাঠনকর্ম শুরুর আগেই একটি টিচিং ফ্রেমওয়ার্ক আবিষ্কার করতে হবে, যা যেকোনো প্রথাগত পদ্ধতির চেয়ে দ্রুত শিক্ষাদানের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের কৃতিত্ব অর্জনকে অভূতপূর্ব স্তরে উন্নীত করতে পারে। 

স্মার্ট শিক্ষক হতে তাদেরকে শিখন-শেখানোর এমন কৌশল বের করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা গড় শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে দ্রুততম উপায়ে শিখতে পারে। যদি একটি পাঠ সম্পন্ন করতে সাধারণ শিক্ষকদের এক বছর সময় লাগে, তা শেষ করতে স্মার্ট শিক্ষকদের ছয় মাস কম লাগতে পারে। স্মার্ট শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে একই পাঠের জন্য ব্যাপক সময় ব্যয় করতে হয় না। 

কোন শিক্ষার কৌশল সবচেয়ে ভালো কাজ করে, স্মার্ট শিক্ষককে সে বিষয়ে গবেষণা করতে হবে। সেরা শিক্ষণ কৌশল হলো বর্তমানের শিক্ষা প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে আগামী প্রজন্মের জন্য কোন কৌশলটি যুগোপযোগী এবং দক্ষতা নির্ভর তা গবেষণা করে বের করা এবং পাঠ-উপযোগী করে সেগুলো শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করা। এটি গবেষণালব্ধ বা  প্রমাণ-ভিত্তিক কৌশল নামেও পরিচিত। এ ধরনের কৌশলগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত এবং ছাত্রছাত্রীদের সফল ফলাফলের সঙ্গে সম্পর্কিত।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শিক্ষায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে এবং পরবর্তীতে উন্নয়নের বৈপ্লবিক পরিস্থিতিতে আরো অনেক প্রযুক্তি নিয়ে আসবে। শিক্ষকদেরকে এ সকল প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে হবে এবং শিক্ষার্থীদেরকে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রযুক্তিগতভাবে যোগ্য ও দক্ষ করে তুলতে হবে। যুগের প্রেক্ষাপটে স্কুলগুলোতে আধুনিক সরঞ্জামাদি স্থাপন করে সেগুলোকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করতে হবে। শেখার পরিবেশগুলো ওয়েব-ভিত্তিক পরিবেশ দ্বারা তৈরি করতে হবে। স্মার্ট স্কুল ব্যবস্থাপনায়, স্মার্ট শিক্ষা হতে হবে সর্বব্যাপী। স্মার্ট শিক্ষাধারা অব্যাহত রাখার জন্য পদ্ধতিগত পরিবর্তন এনে শিক্ষকদেরকে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। স্মার্ট শিক্ষকদেরকে প্রযুক্তিগত দক্ষতায় উন্নত হতে হবে এবং শিক্ষার্থীদেরকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে।

স্মার্ট শিক্ষকদেরকে তাদের শিক্ষার্থীদের শিখন, তাদের আচরণবিধি এবং শ্রেণিকক্ষের শিক্ষণ কৌশলের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে।  ছাত্রছাত্রীদের ভাল ফলাফল অর্জন নিশ্চিত করতে স্মার্ট শিক্ষকদেরকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বেশি বেশি স্মার্ট টিচিং সিস্টেম ব্যবহার করে শিক্ষকদেরকে তাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে শেখার মানসিকতা তৈরি করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় শিক্ষোপকরণ সংগ্রহসহ তারা সময় বাঁচাতে  পারে।

স্মার্ট শিক্ষক সবসময় একটি শিক্ষামূলক মডেল তৈরি করতে পছন্দ করেন। সেজন্য, তারা স্মার্ট স্কুল সিস্টেমের ওপর জোর দিয়ে থাকেন, যার প্রধান দৃষ্টিভঙ্গি হলো শিক্ষার মৌলিক উপাদানগুলোকে একীভূত করা। তাদেরকে শেখার বিষয়বস্তু, শিখন-শিক্ষণ কৌশল এবং বিতরণ পদ্ধতির ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। স্মার্ট টিচিং পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে শিক্ষকগণকে শিশুর সামগ্রিক বিকাশ, তথা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক, মানসিক এবং শারীরিক দক্ষতা বিকাশের সুযোগ প্রদান করতে হবে। স্মার্ট পদ্ধতিতে শেখার সকল উপাদান একত্রিত করে শিখনে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এবং সহযোগিতার সংস্কৃতি চর্চা করে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে স্মার্ট ভূমিকা পালন করতে হবে। 

স্মার্ট শিক্ষণ মূলত সফটওয়্যার সরঞ্জামগুলোর সাহায্যে শিক্ষাদান এবং শেখার ক্রিয়াকলাপগুলোর সংগঠনকে জড়িত করেন। তারা শিখন ও শিক্ষণকর্মে আবিস্কৃত প্রয়োজনীয় সকল অ্যাপ্স ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে স্মার্ট শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ আই), চ্যাটজিপিটি,  গুগল ক্লাসরুম, জুম প্লাটফর্মসহ ডিজিটাল ক্লাসরুমের কাজে ব্যবহৃত সকল ডিভাইস ও অ্যাপসসহ শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করতে স্মার্ট শিক্ষকরা সচেষ্ট থাকেন। 

স্মার্ট শিক্ষকদেরকে ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বনের সঠিক কৌশল জানতে হবে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযুক্ত নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানতে হবে। ব্যবহার ও বাস্তবায়নে প্রশিক্ষিত করতে হবে। উন্নত এলএমএস গ্রহণ, পাঠ পরিকল্পনা তৈরি এবং বিভিন্ন ই-কন্টেন্ট সম্পর্কে শিক্ষকদের সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে।  ওয়ার্কশপ, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ নানাবিধ প্রশক্ষণ কর্মশালা শিক্ষকদের শেখার এবং শেখানো কৌশল উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। 

তবে শিক্ষকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি যেটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো, স্মার্ট টিচিং এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ নিশ্চিত করা। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন স্কুলকে স্মার্ট করা। অর্থাৎ একটি স্কুলে যদি শিখন ও শিক্ষণ কাজে ফলাফলভিত্তিক অনলাইন টুলস, ডিজিটাল সরঞ্জামাদি, আধুনিক প্রযুক্তি সম্মৃদ্ধ স্পেস নিশ্চিত করা যায়, তাহলে শিক্ষক তাদের শিক্ষার্থীদেরকে অনায়াসে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে পারেন। 

মোটকথা, স্মার্ট শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদেরকে উন্নত হাইব্রিড শেখার অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যগত বক্তৃতা পদ্ধতির চেয়ে ইন্টারেক্টিভ শেখার অভিজ্ঞতা পছন্দ করতে শুরু করেছে। আর এটি কার্যকর করতে স্মার্ট পদ্ধতির শিক্ষাই এখন শিক্ষার্থীদের ভীষণ পছন্দ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বিদ্যমান শ্রেণিকক্ষকেন্দ্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, স্মার্ট শিক্ষকগণ তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য শিখনফলভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারেন। অনলাইনে উপলব্ধ অনেক তথ্যসহ একজন স্মার্ট শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে নোট দিতে এবং রিয়েল-টাইম শিক্ষা দিতে সক্ষম হন। স্মার্ট ব্যবস্থাপনায় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজে উপস্থাপনা এবং নথি তৈরি করতে পারেন। তারা শ্রেণি-কার্যক্রমভিত্তিক শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় এবং আনন্দদায়ক করে তুলতে পারেন।  অতএব, স্মার্ট শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে  প্রগতিশীল সমাজ ও উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণে স্মার্ট শিক্ষকের বিকল্প নেই। 

লেখক: প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ স্মার্ট এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিসেন) 

 

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032670497894287