শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস, সন্দেহ তালিকায় যারা - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস, সন্দেহ তালিকায় যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

আবারো নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতির দূর্গখ্যাত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ইডেন কলেজের কয়েকজন কর্মচারী ও কয়েকজন দালাল। শুক্রবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ফাঁসের ঘটনায় সুমন জোয়াদ্দার নামে এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে তাকে উত্তরপত্রসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তার কাছ থেকে দুটি প্রবেশপত্র, একটি উত্তরপত্র, একটি প্রশ্নপত্র ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) হারুন অর রশিদ  জানিয়েছেন, ‘মাউশির অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক গ্রেড-১৬’ পদের পরীক্ষা দেওয়ার সময় ওই পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি প্রবেশপত্রের পেছনে ছোট ছোট করে সব প্রশ্নের উত্তর লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরীক্ষা দেওয়ার সময় ওই কক্ষে ডিউটিরত শিক্ষক দেখতে পান, প্রবেশপত্রের পেছনে লেখা উত্তর দেখে উত্তরপত্র পূরণ করা হচ্ছে। তখন ওই শিক্ষক ওই পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র যাচাই করলে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীক্ষার্থী সুমন জোয়াদ্দার জানিয়েছেন, পটুয়াখালীর সাইফুল, টাঙ্গাইলের খোকনসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের সহায়তায় হোয়াটসআপের মাধ্যমে তার কাছে উত্তর পাঠানো হয়। পরীক্ষার পৌনে ১ ঘণ্টা আগে উত্তরপত্র পেয়ে প্রবেশপত্রের পেছনে লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

ডিবির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. শাহাদত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, সুমন জোয়াদ্দারের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্রের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের উত্তরের হুবহু মিল রয়েছে। ৭০টি প্রশ্নের উত্তরই মিলে গেছে। তার বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষায় অপরাধ আইনে একটি মামলা হয়েছে। চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন এবং  অধিদপ্তরের  শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বিশেষ শাখার কয়েকজন কর্মকর্তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে।  আলাদা মাদরাসা অধিদপ্তর হওয়ার পর বিশেষ শাখার কোনো কাজ নেই তবু এই শাখায় রয়েছেন একাধিক বিতর্কিত কর্মকর্তা। যাদের কোনো কাজ নাই, কিন্তু অফিসে বসে জমি কেনা-বেচাসহ সব অপকর্মে লিপ্ত। এই দুই শাখার দুই ডিডির বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের লিখিত অভিযোগ জমা রয়েছে অধিদপ্তরে। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বউ পেটানোসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কাগজ গায়েব করার অভিযোগ পুরনো।

তাছাড়া এই নিয়োগ কমিটির প্রধান শাহেদুল খবির চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত। এ নিয়ে দুদকে তদন্ত চলছে। সবাই সন্দেহ করছে এই চক্রটিকে। রোববার দিনভর অফিসে ছিলেন কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। 

তদন্তে প্রশ্নফাঁস প্রমাণিত হলে ফের পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। তবে,  এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাননি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।  

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0067119598388672