বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের 'শিক্ষক সমাবেশ' ও শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং শিক্ষাভবন ঘেরাও কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে সরকারিকরণসহ ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বকেয়াসহ বৈশাখী ভাতার দাবিতে ২৭ সেপ্টেম্বর ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছিলেন শিক্ষকরা। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে মীরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুলে বাশিস ও লিয়াঁজো ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় পূর্বঘোষিত ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দৈনিকশিক্ষা ডটকমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মোঃ নজরুল ইসলাম রনির সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণসহ ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বকেয়াসহ বৈশাখী ভাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিগগিরই ঘোষণা করবেন বলে শিক্ষক সমাজ বিশ্বাস করেন। সামনে জাতীয় নির্বাচন, শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ শিক্ষক সমাজের ন্যায্য দাবি মেনে না নিলে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে। একইসাথে শিক্ষকদের চাকরিতে প্রবেশসীমা ৪০ এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করাসহ দেশব্যাপী শিক্ষক নির্যাতন বন্ধ এবং চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের অবিলম্বে চাকরিতে পুনঃবহালের নির্দেশ জারির দাবি জানান শিক্ষকরা।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, সহসভাপতি মোঃ এনামুল হক, মহাসচিব মোঃ রবিউল আলম, অতিরিক্ত মহাসচিব মোঃ কমরুল খান, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবুল হোসেন মিলন, মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সচিব মোঃ মেজবাহুল ইসলাম, অর্থ সচিব আবুল বাশার বাদশাহ, দপ্তর সচিব মোঃ জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহসিন উদ্দিন, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার হোসেন মিঞা, লিয়াঁজো ফোরামের উপদেষ্টা মোঃ ফিরোজ মিয়া, উপদেষ্টা মুঞ্জুরুল আমিন শেখর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের সম্পাদক মোঃ বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।