এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার নতুন প্রস্তাবও প্রত্যাখান করেছেন শিক্ষকরা। প্রস্তাব নিয়ে আসেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মুহম্মদ জাকির হোসেন।শিক্ষকরা ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন কোনো আলোচনা নয়, এমপিওভুক্তির তারিখ ঘোষণা করতে হবে। আজ বুধবার সকাল দশটার দিকে সহকারি পরিচালক জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনরত শিক্ষকদের কাছে এসে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব রাখলে শিক্ষকরা তাকে প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর তিনি দ্রুত অনশন স্থল ত্যাগ করেন।
আজ চতুর্থ দিনের মতো অনশন চলছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষকেরা। গতকাল সকাল ১১টা বিশ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এমপিওভুক্তির নীতিমালা তৈরি ও অর্থমন্ত্রীর বরাতে কথা বলেন। এসময় শিক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন, এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে ঘোষণা শুনতে চান। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কথায় আশ্বাসে তাদের বিশ্বাস নেই। ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে নীতিমালার কথা শুনে আসছেন। মন্ত্রীর বিভ্রান্তকর তথ্যে ও আশ্বাসে আর বিশ্বাস করেন না মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকেরা। তাই তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। মঙ্গলবার বেলা এগারোটা বিশ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনরত শিক্ষকদের মাঝে উপস্থিত হয়ে নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর বরাত দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজ বিদেশ যাওয়ার আগে অর্থমন্ত্রী তাকে (শিক্ষামন্ত্রীকে) বলে গেছেন নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে, শেষ হলেই এমপিওভুক্তির উদোগ নেয়া হবে। এটা আমাদের বিজয়’।’ এসময় শিক্ষকেরা না না বলে মন্ত্রীর আশ্বাস নাকচ করে দেন। অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
হট্টগোলের এক পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নীতিমালা করে এমপিওভুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য সময় লাগবে। কিন্তু সম্মতি পাওয়া গেছে এটাই একটি বড় অর্জন।’ এগারোটা ৩৮ মিনিটে মন্ত্রী বক্তব্য শেষ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের দুইজন সচিব। সাবেক শিক্ষক নেতা কাজী ফারুকের বিরুদ্ধে দালাল দালাল বলে স্লোগান দেন।
মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর অনশরত শিক্ষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষন বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম। মন্ত্রী আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি।শিক্ষামন্ত্রীর টালবাহানায় আমরা বিশ্বাস করি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব। চলতি বাজেটেই এমপিওভুক্ত করতে হবে। জানুয়ারি মাসের বেতনেই আমাদের এমপিও করার দাবি জানান এ শিক্ষক নেতা।