গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। কারণ শিক্ষামন্ত্রী আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদের ডেকে পাঠাচ্ছেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর উচিত ছিল তাদের কাছে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা। আজ মওলানা ভাসানী থাকলে এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতো না।
গতকাল শনিবার ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ এ সভার আয়োজন করে।
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আজ শাবিপ্রবির ছাত্ররা উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। কারণ উপাচার্য পুলিশ দিয়ে ছাত্রদের পিটিয়েছেন। পদত্যাগের জন্য এটাই যথেষ্ট। উনি আজকেই পদত্যাগ করে ছাত্রদের বলবেন যে তিনি ভুল করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এ সরকার আমাদের বাঁদর খেলা দেখাচ্ছে, এ সরকার মনে করে আমরা সবাই বোকা। আসলে সরকার পুরোপুরি জনগণ থেকে বিছিন্ন। আমলা দিয়ে সুশাসন কায়েম করা যায় না, ধান্দাবাজি করানো যায়। আজ এই আমলারা, যারা আপনার সঙ্গে মিনমিন করছে, তারা একটা সময় আপনাকে বেঁধে নিয়ে আসবে।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক হাবীবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের নেতা হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি মনে করি না যে ৩ মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে। অন্তত ২ বছরের জন্য একটা জাতীয় সরকার বা সর্বদলীয় সরকার দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘মওলানা ভাসানীকে আমরা ভুলে গেছি। আজ সরকারিভাবে ভাসানীর জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন হয় না। পত্রপত্রিকায়ও সেভাবে এ বিষয়টি আসে না।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকার মওলানা ভাসানীকে প্রান্তিক জায়গায় ঠেলে দিয়েছে। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্মরণ করা হয় না।
নুরুল হক বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান সংকট উত্তরণে যে নামেই হোক, ২-১ বছরের জন্য একটা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।’